ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস ভিএআর বিভ্রাটে বিতর্ক, ইয়ামালের গোলে ড্রয়ে রক্ষা পেল বার্সেলোনা আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৫০০ ছাড়িয়েছে ভিসা জালিয়াতদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আজীবন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি আঞ্চলিক-বৈশ্বিক পরিবর্তনে ইরান-চীন হাত মিলাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্যতম শীর্ষ নেতা মুহাম্মাদ সিনওয়ারের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে হামাস ইসরায়েলের সাইবার ট্র্যাকিংয়ে নিহত হয়েছিলো ইরানের শীর্ষ ব্যক্তিরা পলিথিন পেলেই জব্দ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড রায়ের আপিল শুনানি ৬ মে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 100

ছবি সংগৃহীত

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের শুনানি আগামী ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। আদালত জানায়, নির্ধারিত তারিখে আপিলটি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।

গতকাল সোমবার আজহারের আইনজীবী আপিল শুনানির তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানালে আজ মঙ্গলবার এটি কার্যতালিকার ২৮ নম্বরে ওঠে। শুনানির সময় আদালতে আজহারুলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহারুল।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর করেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে সংক্ষিপ্তসার দাখিল করা হলে আজ শুনানির দিন নির্ধারণের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ আবেদন আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আগামী ৬ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এ টি এম আজহারুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

রিভিউ শুনানির মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে কিনা তা নির্ধারিত হবে। মামলাটি এখন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক নজিরবিহীন পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড রায়ের আপিল শুনানি ৬ মে

আপডেট সময় ০১:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের শুনানি আগামী ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। আদালত জানায়, নির্ধারিত তারিখে আপিলটি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।

গতকাল সোমবার আজহারের আইনজীবী আপিল শুনানির তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানালে আজ মঙ্গলবার এটি কার্যতালিকার ২৮ নম্বরে ওঠে। শুনানির সময় আদালতে আজহারুলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহারুল।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর করেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে সংক্ষিপ্তসার দাখিল করা হলে আজ শুনানির দিন নির্ধারণের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ আবেদন আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আগামী ৬ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এ টি এম আজহারুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

রিভিউ শুনানির মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে কিনা তা নির্ধারিত হবে। মামলাটি এখন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক নজিরবিহীন পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।