ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

চীনে লাল গালিচা ও উষ্ণ সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ২৮ মার্চ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 38

ছবি: সংগৃহীত

 

চীনের হাইনান প্রদেশের কিয়ংহাই বোয়াও বিমানবন্দরে পৌঁছেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লাল গালিচা সংবর্ধনায় তাকে স্বাগত জানায় চীন সরকার, যা দুই দেশের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি বোয়াও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন হাইনান প্রদেশের গণ-সরকারের ভাইস গভর্নর ওয়াং জুনশো এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম। বিমান সিঁড়ি থেকে গাড়ির দরজা পর্যন্ত লাল গালিচা বিছিয়ে অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটি ইউনূসের প্রথম চীন সফর। সফরের মূল লক্ষ্য চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন। বিশেষ করে, এই সফরকে ঘিরে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক সই এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ঘোষণাগুলো আগামীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

তিনি ২৭ মার্চ হাইনানে অনুষ্ঠিতব্য ‘দ্য বাও ফোরাম ফর এশিয়া ২০২৫’-এর বার্ষিক সম্মেলনের পেনিং প্ল্যানারিতে অংশ নেবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, এই সফরে বড় কোনো চুক্তি না হলেও ছয় থেকে আটটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও আসতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ সহায়তার কথা। মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু অবকাঠামোগত প্রকল্প এই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সীমিত সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও, এই সফরে অর্জিত সমঝোতাগুলো ভবিষ্যৎ সরকারের পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার দিকেও স্পষ্ট ইঙ্গিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনে লাল গালিচা ও উষ্ণ সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ২৮ মার্চ

আপডেট সময় ১২:১৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

চীনের হাইনান প্রদেশের কিয়ংহাই বোয়াও বিমানবন্দরে পৌঁছেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লাল গালিচা সংবর্ধনায় তাকে স্বাগত জানায় চীন সরকার, যা দুই দেশের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি বোয়াও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন হাইনান প্রদেশের গণ-সরকারের ভাইস গভর্নর ওয়াং জুনশো এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম। বিমান সিঁড়ি থেকে গাড়ির দরজা পর্যন্ত লাল গালিচা বিছিয়ে অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটি ইউনূসের প্রথম চীন সফর। সফরের মূল লক্ষ্য চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন। বিশেষ করে, এই সফরকে ঘিরে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক সই এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ঘোষণাগুলো আগামীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

তিনি ২৭ মার্চ হাইনানে অনুষ্ঠিতব্য ‘দ্য বাও ফোরাম ফর এশিয়া ২০২৫’-এর বার্ষিক সম্মেলনের পেনিং প্ল্যানারিতে অংশ নেবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, এই সফরে বড় কোনো চুক্তি না হলেও ছয় থেকে আটটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও আসতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ সহায়তার কথা। মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু অবকাঠামোগত প্রকল্প এই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সীমিত সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও, এই সফরে অর্জিত সমঝোতাগুলো ভবিষ্যৎ সরকারের পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার দিকেও স্পষ্ট ইঙ্গিত।