১০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মা ও শিশুসহ নিহত ৬৫, জাবালিয়ায় চূড়ান্ত উচ্ছেদ অভিযান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় পরিস্থিতি চরম মানবিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। সর্বশেষ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে এক মা ও তার মাত্র ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর থেকে গাজায় কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে রয়েছে আরও চার শিশু।

ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ শুরু করেছে। স্থানীয়দের দ্রুত সরিয়ে না নিলে ‘চূড়ান্ত হামলার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, “এটি জাবালিয়াবাসীর জন্য সর্বশেষ সতর্কবার্তা।” তিনি বাসিন্দাদের দক্ষিণে নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলেছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন। গত কয়েক দিনের অভিযানে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ ছুঁয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন নারী ও শিশু।

এদিকে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত। ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের কারণে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মেরামতের কাজ থমকে গেছে।

অক্সফামের ফিলিস্তিন নীতির প্রধান বুশরা খালিদী বলেন, “গত ৫৩৫ দিন ধরে ইসরায়েল মানবিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ কেটে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এটি যুদ্ধাপরাধ।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তাই এই অপরাধকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে এই মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।”

গাজার আকাশে এখনো বারবার ভেসে উঠছে বিস্ফোরণের ধোঁয়া। শিশুদের কান্না, মায়েদের আহাজারি আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা জীবনের আর্তনাদ বিশ্ব বিবেককে প্রশ্ন করছে কখন থামবে এই নিষ্ঠুরতা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মা ও শিশুসহ নিহত ৬৫, জাবালিয়ায় চূড়ান্ত উচ্ছেদ অভিযান

আপডেট সময় ০৩:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় পরিস্থিতি চরম মানবিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। সর্বশেষ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে এক মা ও তার মাত্র ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর থেকে গাজায় কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে রয়েছে আরও চার শিশু।

ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ শুরু করেছে। স্থানীয়দের দ্রুত সরিয়ে না নিলে ‘চূড়ান্ত হামলার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, “এটি জাবালিয়াবাসীর জন্য সর্বশেষ সতর্কবার্তা।” তিনি বাসিন্দাদের দক্ষিণে নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলেছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন। গত কয়েক দিনের অভিযানে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ ছুঁয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন নারী ও শিশু।

এদিকে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত। ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের কারণে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মেরামতের কাজ থমকে গেছে।

অক্সফামের ফিলিস্তিন নীতির প্রধান বুশরা খালিদী বলেন, “গত ৫৩৫ দিন ধরে ইসরায়েল মানবিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ কেটে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এটি যুদ্ধাপরাধ।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তাই এই অপরাধকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে এই মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।”

গাজার আকাশে এখনো বারবার ভেসে উঠছে বিস্ফোরণের ধোঁয়া। শিশুদের কান্না, মায়েদের আহাজারি আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা জীবনের আর্তনাদ বিশ্ব বিবেককে প্রশ্ন করছে কখন থামবে এই নিষ্ঠুরতা।