ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুরাদনগরে কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়: আসিফ মাহমুদ জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শান্তির আশায় সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কূটনীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

সৌদি আরবের মাটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করা। রবিবার ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক শেষে আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়ে আলোচনা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ ও কার্যকর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করে উমেরভ বলেন, “আমরা জ্বালানিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।”

আলোচনায় কৃষ্ণসাগরের নৌপথ এবং বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়া এমন একটি চুক্তির পুনর্জাগরণে আগ্রহী, যা ইউক্রেনকে সরাসরি হামলা ছাড়াই তার বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে দেবে। এই উদ্যোগ কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য একটি ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।

আগের আলোচনা পর্বগুলোর মতো এবারও সব পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই দফায় টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যেখানে মূলত অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদিতে এই ত্রিমুখী আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। যুদ্ধের ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এই নতুন প্রচেষ্টা কি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা ঘটাতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তির আশায় সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কূটনীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে?

আপডেট সময় ০৬:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

সৌদি আরবের মাটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করা। রবিবার ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক শেষে আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়ে আলোচনা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ ও কার্যকর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করে উমেরভ বলেন, “আমরা জ্বালানিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।”

আলোচনায় কৃষ্ণসাগরের নৌপথ এবং বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়া এমন একটি চুক্তির পুনর্জাগরণে আগ্রহী, যা ইউক্রেনকে সরাসরি হামলা ছাড়াই তার বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে দেবে। এই উদ্যোগ কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য একটি ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।

আগের আলোচনা পর্বগুলোর মতো এবারও সব পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই দফায় টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যেখানে মূলত অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদিতে এই ত্রিমুখী আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। যুদ্ধের ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এই নতুন প্রচেষ্টা কি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা ঘটাতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।