০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইরান সর্বদা যেকোনো সংঘাতের জন্য প্রস্তুত, ট্রাম্পের চাহিদা আমাদের বিবেচনায় নেই: আরাঘচি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি না বদলালে তেহরানের সঙ্গে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরান সবসময় শান্তির পক্ষে, তবে যুদ্ধ হলে আমরা প্রস্তুত, ভয় পাই না।”

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মতির জন্য দুই মাস সময় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেন সরাসরি হামলার হুমকিও। ট্রাম্পের এমন অবস্থানের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বাড়াবাড়ি না করার’ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, সামরিক উত্তেজনা এড়াতে ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি নতুন চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তার ভাষায়, “সব সমস্যা যুদ্ধ দিয়ে মেটানো যায় না।”

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি স্পষ্ট করে বলেন, “চিঠি পাঠানো কূটনীতির অংশ হলেও, যখন তা হুমকি ও চাপের সঙ্গে মিশে যায়, তখন তা আর গ্রহণযোগ্য থাকে না। আমরাও জবাব দেবো নিজস্ব কূটনৈতিক পথে।” তিনি আরও বলেন, “ইরানের পররাষ্ট্রনীতি শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। কিন্তু যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে, আমরা প্রস্তুত।”

ট্রাম্পের আচরণকে “একপাক্ষিক ও আগ্রাসী” আখ্যা দিয়ে আরাঘচি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা মেটাতে আলোচনায় যাবো না। আমাদের সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার ভিত্তিতে।”

২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকে ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে যা আন্তর্জাতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ইরান বলছে, তারা আলোচনার বিরুদ্ধে নয়। তবে একতরফা চাপ ও হুমকির রাজনীতি চলতে থাকলে, কোনো ধরনের সংলাপ সম্ভব নয়। যুদ্ধ এড়াতে হলে, প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রকেই নিজের অবস্থান পর্যালোচনা করতে হবে এমন বার্তাই যেন দিলো তেহরান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান সর্বদা যেকোনো সংঘাতের জন্য প্রস্তুত, ট্রাম্পের চাহিদা আমাদের বিবেচনায় নেই: আরাঘচি

আপডেট সময় ০৩:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি না বদলালে তেহরানের সঙ্গে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরান সবসময় শান্তির পক্ষে, তবে যুদ্ধ হলে আমরা প্রস্তুত, ভয় পাই না।”

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মতির জন্য দুই মাস সময় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেন সরাসরি হামলার হুমকিও। ট্রাম্পের এমন অবস্থানের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বাড়াবাড়ি না করার’ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, সামরিক উত্তেজনা এড়াতে ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি নতুন চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তার ভাষায়, “সব সমস্যা যুদ্ধ দিয়ে মেটানো যায় না।”

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি স্পষ্ট করে বলেন, “চিঠি পাঠানো কূটনীতির অংশ হলেও, যখন তা হুমকি ও চাপের সঙ্গে মিশে যায়, তখন তা আর গ্রহণযোগ্য থাকে না। আমরাও জবাব দেবো নিজস্ব কূটনৈতিক পথে।” তিনি আরও বলেন, “ইরানের পররাষ্ট্রনীতি শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। কিন্তু যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে, আমরা প্রস্তুত।”

ট্রাম্পের আচরণকে “একপাক্ষিক ও আগ্রাসী” আখ্যা দিয়ে আরাঘচি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা মেটাতে আলোচনায় যাবো না। আমাদের সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার ভিত্তিতে।”

২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকে ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে যা আন্তর্জাতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ইরান বলছে, তারা আলোচনার বিরুদ্ধে নয়। তবে একতরফা চাপ ও হুমকির রাজনীতি চলতে থাকলে, কোনো ধরনের সংলাপ সম্ভব নয়। যুদ্ধ এড়াতে হলে, প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রকেই নিজের অবস্থান পর্যালোচনা করতে হবে এমন বার্তাই যেন দিলো তেহরান।