ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বৈঠকে অসমাপ্ত আলোচনা: ট্রাম্প ও পুতিনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ

যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৭, উত্তপ্ত সীমান্তে ফের যুদ্ধের শঙ্কা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 56

ছবি সংগৃহীত

 

লেবাননের আকাশে ফের বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল, যা চলমান যুদ্ধবিরতিকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে অঞ্চলটি। এতে একজন শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত সাতজন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বসতবাড়ি ধসে পড়েছে, আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যেই হতাহতের সংখ্যা বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, শনিবার লেবানন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছিল। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালায় হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে। হিজবুল্লাহ ছাড়াও দক্ষিণ লেবাননে ফিলিস্তিনপন্থি আরও কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় থাকলেও, রকেট ছোড়ার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

প্রথম দফার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রাতে দ্বিতীয় দফায় আরও ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টার, অস্ত্র ভাণ্ডার এবং সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এই হামলার মধ্য দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আবারো উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষের দিকে গড়াতে পারে।

এদিকে, গাজা পরিস্থিতিও দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩২ জন ফিলিস্তিনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে ইসরায়েলের চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ গেছে ৪৯,৫০০ জনেরও বেশি মানুষের।

সংঘাত যেন থামার নাম নিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কার্যকর কোনো সমাধানের পথে এগোচ্ছে না অঞ্চলটি। পরিস্থিতি এখন আগ্নেয়গিরির মতো যেকোনো সময় বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৭, উত্তপ্ত সীমান্তে ফের যুদ্ধের শঙ্কা

আপডেট সময় ০৩:৫৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

লেবাননের আকাশে ফের বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল, যা চলমান যুদ্ধবিরতিকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে অঞ্চলটি। এতে একজন শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত সাতজন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বসতবাড়ি ধসে পড়েছে, আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যেই হতাহতের সংখ্যা বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, শনিবার লেবানন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছিল। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালায় হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে। হিজবুল্লাহ ছাড়াও দক্ষিণ লেবাননে ফিলিস্তিনপন্থি আরও কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় থাকলেও, রকেট ছোড়ার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

প্রথম দফার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রাতে দ্বিতীয় দফায় আরও ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টার, অস্ত্র ভাণ্ডার এবং সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এই হামলার মধ্য দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আবারো উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষের দিকে গড়াতে পারে।

এদিকে, গাজা পরিস্থিতিও দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩২ জন ফিলিস্তিনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে ইসরায়েলের চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ গেছে ৪৯,৫০০ জনেরও বেশি মানুষের।

সংঘাত যেন থামার নাম নিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কার্যকর কোনো সমাধানের পথে এগোচ্ছে না অঞ্চলটি। পরিস্থিতি এখন আগ্নেয়গিরির মতো যেকোনো সময় বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।