ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি ভেঙে লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত শিশু-সহ অন্তত ৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে উপেক্ষা করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা ও কামান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। শনিবার (২৩ মার্চ) চালানো এ হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত আটজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিনত জাবেলি ও তুলিন এলাকায় তিনজন এবং উপকূলীয় শহর টায়ারে প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আচমকা শুরু হওয়া হামলায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়, চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এটি ছিল চুক্তি কার্যকরের পর প্রথমবারের মতো এত বড় মাত্রার হামলা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শনিবার লেবানন থেকে ছোড়া ছয়টি রকেট ইসরায়েল অভিমুখে নিক্ষিপ্ত হয়, যার মধ্যে তিনটি সীমান্ত পেরিয়ে যায়। পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা চালানো হয় বলে জানায় তারা।

তবে হিজবুল্লাহ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, তারা কোনো ধরনের আগ্রাসনে অংশ নেয়নি এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনেই চলছে। শনিবারের রকেট হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, শুধু বিমান নয়, স্থল থেকে কামান থেকেও তীব্র গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। বিশ্লেষকদের মতে, লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চাপ প্রয়োগ ও হিজবুল্লাহকে দুর্বল করতেই এই কৌশল নিচ্ছে ইসরায়েল।

এদিকে, গাজায় গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া নতুন অভিযানেও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। পাঁচদিনের অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৩৪ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে রয়েছে ২০০-রও বেশি শিশু।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল ইসরায়েলের এই ধারাবাহিক আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। গাজার পর এবার লেবাননে হামলা করে আরও একবার উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছে নেতানিয়াহুর সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতি ভেঙে লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত শিশু-সহ অন্তত ৮

আপডেট সময় ০১:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

 

যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে উপেক্ষা করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা ও কামান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। শনিবার (২৩ মার্চ) চালানো এ হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত আটজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিনত জাবেলি ও তুলিন এলাকায় তিনজন এবং উপকূলীয় শহর টায়ারে প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আচমকা শুরু হওয়া হামলায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়, চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এটি ছিল চুক্তি কার্যকরের পর প্রথমবারের মতো এত বড় মাত্রার হামলা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শনিবার লেবানন থেকে ছোড়া ছয়টি রকেট ইসরায়েল অভিমুখে নিক্ষিপ্ত হয়, যার মধ্যে তিনটি সীমান্ত পেরিয়ে যায়। পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা চালানো হয় বলে জানায় তারা।

তবে হিজবুল্লাহ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, তারা কোনো ধরনের আগ্রাসনে অংশ নেয়নি এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনেই চলছে। শনিবারের রকেট হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, শুধু বিমান নয়, স্থল থেকে কামান থেকেও তীব্র গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। বিশ্লেষকদের মতে, লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চাপ প্রয়োগ ও হিজবুল্লাহকে দুর্বল করতেই এই কৌশল নিচ্ছে ইসরায়েল।

এদিকে, গাজায় গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া নতুন অভিযানেও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। পাঁচদিনের অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৩৪ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে রয়েছে ২০০-রও বেশি শিশু।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল ইসরায়েলের এই ধারাবাহিক আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। গাজার পর এবার লেবাননে হামলা করে আরও একবার উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছে নেতানিয়াহুর সরকার।