ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবে প্রাণ গেল ৩২ জনের, লেবাননে পাল্টা হামলায় নিহত ৭

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ফের ভয়াবহ রক্তপাত। একদিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৩২ জন। ভয়াবহ এই হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরসহ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ।

আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, শনিবার গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো হয় একের পর এক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় এক পরিবারের পাঁচজন স্বামী, স্ত্রী ও তাদের সন্তানরা একইসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন। একইদিন দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের কাছেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব হামলায় আহত ও নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের মুখে। শয্যা ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতালগুলো। বিশেষ করে মেমাদানি হাসপাতাল এখন আহতদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। জরুরি চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, শনিবার সকালে তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ছয়টি রকেট। এর তিনটি সীমান্ত অতিক্রম করে। এসব হামলার জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে চালানো হয় ব্যাপক বিমান হামলা। লেবাননের সরকারি সূত্র বলছে, এতে এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত।

তেল আবিবের দাবি, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ও অবকাঠামোই ছিল তাদের লক্ষ্য। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, লেবাননের যেকোনো রকেট হামলারই জবাব দেয়া হবে কঠোরভাবে। তবে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা কোনো হামলায় জড়িত নয় এবং যুদ্ধবিরতির নীতিতে এখনও অটল। শনিবারের রকেট হামলার দায়ও স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।

গাজা ও লেবাননে চলমান এই সহিংসতায় উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। মানবিক সংকটের আশঙ্কায় ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবে প্রাণ গেল ৩২ জনের, লেবাননে পাল্টা হামলায় নিহত ৭

আপডেট সময় ১২:১৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

গাজায় ফের ভয়াবহ রক্তপাত। একদিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৩২ জন। ভয়াবহ এই হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরসহ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ।

আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, শনিবার গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো হয় একের পর এক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় এক পরিবারের পাঁচজন স্বামী, স্ত্রী ও তাদের সন্তানরা একইসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন। একইদিন দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের কাছেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব হামলায় আহত ও নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের মুখে। শয্যা ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতালগুলো। বিশেষ করে মেমাদানি হাসপাতাল এখন আহতদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। জরুরি চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, শনিবার সকালে তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ছয়টি রকেট। এর তিনটি সীমান্ত অতিক্রম করে। এসব হামলার জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে চালানো হয় ব্যাপক বিমান হামলা। লেবাননের সরকারি সূত্র বলছে, এতে এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত।

তেল আবিবের দাবি, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ও অবকাঠামোই ছিল তাদের লক্ষ্য। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, লেবাননের যেকোনো রকেট হামলারই জবাব দেয়া হবে কঠোরভাবে। তবে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা কোনো হামলায় জড়িত নয় এবং যুদ্ধবিরতির নীতিতে এখনও অটল। শনিবারের রকেট হামলার দায়ও স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।

গাজা ও লেবাননে চলমান এই সহিংসতায় উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। মানবিক সংকটের আশঙ্কায় ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য।