ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে: আইএইএ পাকিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৭ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে সতর্কতা জারি, উদ্বেগে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি নাগরিকদের আটক এবং নির্বাসনের সাম্প্রতিক ঘটনা ঘিরে এবার নিজেদের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। দেশ দুটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে এবং যে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণরত নাগরিকদের অবশ্যই প্রবেশ ও ভিসাসংক্রান্ত সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে গ্রেফতার, আটক বা দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করে তারা।

একইসঙ্গে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকা মানেই দেশটিতে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়। এর আগে অন্তত তিনটি ঘটনায় দেখা গেছে, বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও কিছু নাগরিককে সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জার্মানি স্পষ্ট করে বলে, কোনো ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন কি না, তা নির্ধারণ করে দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে। কানাডীয় অভিনেত্রী জেসমনি মুনি মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে আটক হন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (ICE) সদস্যদের হাতে। তার মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, টানা ১২ দিন অবর্ণনীয় অবস্থায় আটক থাকার পর মেয়েকে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ফেরত পাঠানো হয়।

আরেক ঘটনায়, ফ্রান্সের একজন বিজ্ঞানী ট্রাম্পবিরোধী বার্তা ফোনে বহন করায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এইসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানেরই প্রতিফলন ঘটছে এসব ঘটনায়।

মার্কিন কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, যে কোনো বিদেশি নাগরিক যদি ভ্রমণবিধি লঙ্ঘন করেন, তাকে আটক করা হতে পারে এমনকি বৈধ ভিসা থাকলেও নয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রগামী ভ্রমণকারীদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে সতর্কতা জারি, উদ্বেগে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি

আপডেট সময় ০৩:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি নাগরিকদের আটক এবং নির্বাসনের সাম্প্রতিক ঘটনা ঘিরে এবার নিজেদের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। দেশ দুটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে এবং যে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণরত নাগরিকদের অবশ্যই প্রবেশ ও ভিসাসংক্রান্ত সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে গ্রেফতার, আটক বা দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করে তারা।

একইসঙ্গে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকা মানেই দেশটিতে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়। এর আগে অন্তত তিনটি ঘটনায় দেখা গেছে, বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও কিছু নাগরিককে সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জার্মানি স্পষ্ট করে বলে, কোনো ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন কি না, তা নির্ধারণ করে দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে। কানাডীয় অভিনেত্রী জেসমনি মুনি মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে আটক হন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (ICE) সদস্যদের হাতে। তার মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, টানা ১২ দিন অবর্ণনীয় অবস্থায় আটক থাকার পর মেয়েকে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ফেরত পাঠানো হয়।

আরেক ঘটনায়, ফ্রান্সের একজন বিজ্ঞানী ট্রাম্পবিরোধী বার্তা ফোনে বহন করায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এইসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানেরই প্রতিফলন ঘটছে এসব ঘটনায়।

মার্কিন কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, যে কোনো বিদেশি নাগরিক যদি ভ্রমণবিধি লঙ্ঘন করেন, তাকে আটক করা হতে পারে এমনকি বৈধ ভিসা থাকলেও নয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রগামী ভ্রমণকারীদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।