ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইজারে সহিংস হামলায় ১৩ সেনা নিহত, নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

নাইজারে ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বুধবার নিয়ামি থেকে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় নাইজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

প্রথম হামলাটি ঘটে পশ্চিম তিলাবেরি অঞ্চলের একটি সোনার খনির কাছে। সেখানে ইসলামিক স্টেটের সহযোগী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯ সেনা প্রাণ হারান। ১৫ মার্চ সংঘটিত এই হামলায় প্রায় ১০০টি মোটরসাইকেল নিয়ে বুরকিনা ফাসো সীমান্ত থেকে সশস্ত্র আক্রমণকারীরা প্রবেশ করে। তবে নাইজার সেনাবাহিনী তাদের প্রতিরোধে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে ৫৫ জন জিহাদিকে হত্যা করে।

নাইজার সামরিক বাহিনী জানায়, প্রতিবেশী দেশগুলোও এই অভিযানে সহায়তা করেছে। সংঘর্ষে নাইজারের সাত সেনা আহত হয়েছেন।

এর দুই দিন পর দেশটির আরেক প্রান্তে একটি সামরিক ফাঁড়িতে ভয়াবহ হামলা চালায় ‘প্রায় ৩০০ জনের একটি দল’। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলাকারীদের সঙ্গে বোকো হারামের সদস্যরা জড়িত ছিল। এই আক্রমণে চার সেনা নিহত হন। হামলাকারীরা বিস্ফোরক ও বুবি-ট্র্যাপ ব্যবহার করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পাশাপাশি, দেশের খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল তারা। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সন্ত্রাসী তৎপরতা ও নিরাপত্তা সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আন্তর্জাতিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসিএলইডি জানিয়েছে, দেশটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, গণতন্ত্র সংকুচিত হয়েছে এবং নাগরিক স্বাধীনতায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে।

নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো যৌথভাবে পাঁচ হাজার সেনার একটি বাহিনী গঠন করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী, সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র সামরিক পদক্ষেপ নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই হবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজারে সহিংস হামলায় ১৩ সেনা নিহত, নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

আপডেট সময় ০৪:২৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

নাইজারে ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বুধবার নিয়ামি থেকে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় নাইজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

প্রথম হামলাটি ঘটে পশ্চিম তিলাবেরি অঞ্চলের একটি সোনার খনির কাছে। সেখানে ইসলামিক স্টেটের সহযোগী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯ সেনা প্রাণ হারান। ১৫ মার্চ সংঘটিত এই হামলায় প্রায় ১০০টি মোটরসাইকেল নিয়ে বুরকিনা ফাসো সীমান্ত থেকে সশস্ত্র আক্রমণকারীরা প্রবেশ করে। তবে নাইজার সেনাবাহিনী তাদের প্রতিরোধে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে ৫৫ জন জিহাদিকে হত্যা করে।

নাইজার সামরিক বাহিনী জানায়, প্রতিবেশী দেশগুলোও এই অভিযানে সহায়তা করেছে। সংঘর্ষে নাইজারের সাত সেনা আহত হয়েছেন।

এর দুই দিন পর দেশটির আরেক প্রান্তে একটি সামরিক ফাঁড়িতে ভয়াবহ হামলা চালায় ‘প্রায় ৩০০ জনের একটি দল’। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলাকারীদের সঙ্গে বোকো হারামের সদস্যরা জড়িত ছিল। এই আক্রমণে চার সেনা নিহত হন। হামলাকারীরা বিস্ফোরক ও বুবি-ট্র্যাপ ব্যবহার করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পাশাপাশি, দেশের খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল তারা। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সন্ত্রাসী তৎপরতা ও নিরাপত্তা সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আন্তর্জাতিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসিএলইডি জানিয়েছে, দেশটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, গণতন্ত্র সংকুচিত হয়েছে এবং নাগরিক স্বাধীনতায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে।

নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো যৌথভাবে পাঁচ হাজার সেনার একটি বাহিনী গঠন করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী, সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র সামরিক পদক্ষেপ নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই হবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।