ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

তুরস্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা: ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 33

ছবি: সংগৃহীত

 

তুরস্কের রাজনীতিতে নতুন মোড়। আজ বুধবার ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। নিজ বাসায় তল্লাশির পর তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।

মেয়র ইমামোগলু তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। তাঁর আকস্মিক আটক রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পুলিশের উপস্থিতির খবর দিয়ে ইমামোগলু নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, “আমার দরজায় কয়েক শ পুলিশ, আমি নিজেকে জনগণের হাতে সঁপে দিচ্ছি।”

ইমামোগলুর কার্যালয় থেকেও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি তুরস্কের আসন্ন ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কেননা, একরেম ইমামোগলু ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আটকের একদিন আগেই ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর ‘ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাতিল’ করার ঘোষণা দেয়। অভিযোগ, ডিগ্রিতে অনিয়ম ছিল। কিন্তু অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। ফলে, ডিগ্রি বাতিলের মাধ্যমে ইমামোগলুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইমামোগলু বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো ইস্তাম্বুলের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক মামলা তদন্তাধীন ছিল। তবে সমর্থকদের দাবি, এসব আইনি পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই অংশ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এরদোয়ানের সরকারকে টালমাটাল করতে বিরোধী দল সিএইচপি এর কঠোর প্রতিবাদ জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তুরস্কে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। ইমামোগলুর আটকের পর তার পরিণতি কী হয়, সেটাই এখন সবার নজরকাড়া বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

তুরস্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা: ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু আটক

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

তুরস্কের রাজনীতিতে নতুন মোড়। আজ বুধবার ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। নিজ বাসায় তল্লাশির পর তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।

মেয়র ইমামোগলু তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। তাঁর আকস্মিক আটক রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পুলিশের উপস্থিতির খবর দিয়ে ইমামোগলু নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, “আমার দরজায় কয়েক শ পুলিশ, আমি নিজেকে জনগণের হাতে সঁপে দিচ্ছি।”

ইমামোগলুর কার্যালয় থেকেও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি তুরস্কের আসন্ন ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কেননা, একরেম ইমামোগলু ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আটকের একদিন আগেই ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর ‘ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাতিল’ করার ঘোষণা দেয়। অভিযোগ, ডিগ্রিতে অনিয়ম ছিল। কিন্তু অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। ফলে, ডিগ্রি বাতিলের মাধ্যমে ইমামোগলুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইমামোগলু বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো ইস্তাম্বুলের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক মামলা তদন্তাধীন ছিল। তবে সমর্থকদের দাবি, এসব আইনি পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই অংশ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এরদোয়ানের সরকারকে টালমাটাল করতে বিরোধী দল সিএইচপি এর কঠোর প্রতিবাদ জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তুরস্কে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। ইমামোগলুর আটকের পর তার পরিণতি কী হয়, সেটাই এখন সবার নজরকাড়া বিষয়।