ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ: ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

 

গত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য রোডম্যাপ তৈরি, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দুই নেতা একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হতে হবে স্থায়ী শান্তির মাধ্যমে। এ লক্ষ্যে তারা প্রাথমিকভাবে জ্বালানি ও অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা পরিহারের পরিকল্পনাকে পুতিন সমর্থন করেছেন এবং তাঁর সেনাবাহিনীকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

এই আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন। বিষয়টি নিয়ে কারিগরি আলোচনার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সমাধান বের করা হবে, যা শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

পাশাপাশি দুই নেতা অস্ত্র বিস্তার রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার পরিকল্পনাও করেছেন, যাতে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতা কমিয়ে আনা যায় এবং সামরিক উত্তেজনা প্রশমিত করা যায়।

শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে বৃহৎ অর্থনৈতিক চুক্তি ও ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প ও পুতিন। উভয়েই মনে করেন, যুদ্ধ বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা কমে আসবে।

এছাড়া, আলোচনার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল বন্দী বিনিময় প্রসঙ্গ। ১৯ মার্চ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময় হবে, যেখানে প্রতিটি পক্ষ ১৭৫ জন বন্দী মুক্তি দেবে। এটি যুদ্ধবিরতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প-পুতিনের এই আলোচনা ইউক্রেন সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। যদিও চূড়ান্ত সমাধান এখনো অনিশ্চিত, তবে এই ফোনালাপকে শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ: ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৩:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

গত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য রোডম্যাপ তৈরি, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দুই নেতা একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হতে হবে স্থায়ী শান্তির মাধ্যমে। এ লক্ষ্যে তারা প্রাথমিকভাবে জ্বালানি ও অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা পরিহারের পরিকল্পনাকে পুতিন সমর্থন করেছেন এবং তাঁর সেনাবাহিনীকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

এই আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন। বিষয়টি নিয়ে কারিগরি আলোচনার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সমাধান বের করা হবে, যা শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

পাশাপাশি দুই নেতা অস্ত্র বিস্তার রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার পরিকল্পনাও করেছেন, যাতে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতা কমিয়ে আনা যায় এবং সামরিক উত্তেজনা প্রশমিত করা যায়।

শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে বৃহৎ অর্থনৈতিক চুক্তি ও ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প ও পুতিন। উভয়েই মনে করেন, যুদ্ধ বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা কমে আসবে।

এছাড়া, আলোচনার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল বন্দী বিনিময় প্রসঙ্গ। ১৯ মার্চ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময় হবে, যেখানে প্রতিটি পক্ষ ১৭৫ জন বন্দী মুক্তি দেবে। এটি যুদ্ধবিরতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প-পুতিনের এই আলোচনা ইউক্রেন সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। যদিও চূড়ান্ত সমাধান এখনো অনিশ্চিত, তবে এই ফোনালাপকে শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।