ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

জন এফ কেনেডি হত্যা: প্রকাশ্যে আসছে ট্রাম্প প্রশাসনের ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন মোড়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি প্রকাশ করতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে রহস্যে মোড়া ১৯৬৩ সালের এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে নতুন কোনো সত্য উদঘাটিত হবে কি না, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল চরমে পৌঁছেছে।

ওয়াশিংটনের দ্য কেনেডি সেন্টারে সোমবার এক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “লোকজন বছরের পর বছর ধরে এই নথির প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন। এটি সত্যিই চমকপ্রদ হতে যাচ্ছে।” এর আগেই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কেনেডি, তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব নথি প্রকাশের নির্দেশ দেন।

এফবিআই জানিয়েছে, কেনেডি হত্যার অনুসন্ধানে তারা নতুনভাবে প্রায় ২,৪০০ ডিজিটাল নথি চিহ্নিত করেছে, যা আগে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। এই নথিগুলোর মধ্যে এমন কিছু তথ্য থাকতে পারে, যা এতদিন পর্যন্ত তদন্তের বাইরে ছিল।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর, টেক্সাসের ডালাস শহরে আততায়ী গুলিতে নিহত হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। তাঁর হত্যার পর থেকে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি হয়ে ওঠে এটি। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উঠে এসেছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এখনও নানা প্রশ্ন রয়েছে।

সরকারি তদন্তে লী হার্ভে অসওয়াল্ড নামের এক বন্দুকধারীকে হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে অনেকেই মনে করেন, এর পেছনে আরও গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। এই নতুন নথিগুলো প্রকাশের মাধ্যমে সেই রহস্য উন্মোচিত হবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এতদিন পরেও হয়তো প্রকৃত সত্য গোপনই থাকবে। তবে একাধিক মার্কিন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই নথিগুলোর প্রকাশ সত্যের সন্ধান আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জন এফ কেনেডি হত্যা: প্রকাশ্যে আসছে ট্রাম্প প্রশাসনের ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

আপডেট সময় ০২:৫০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন মোড়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি প্রকাশ করতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে রহস্যে মোড়া ১৯৬৩ সালের এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে নতুন কোনো সত্য উদঘাটিত হবে কি না, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল চরমে পৌঁছেছে।

ওয়াশিংটনের দ্য কেনেডি সেন্টারে সোমবার এক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “লোকজন বছরের পর বছর ধরে এই নথির প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন। এটি সত্যিই চমকপ্রদ হতে যাচ্ছে।” এর আগেই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কেনেডি, তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব নথি প্রকাশের নির্দেশ দেন।

এফবিআই জানিয়েছে, কেনেডি হত্যার অনুসন্ধানে তারা নতুনভাবে প্রায় ২,৪০০ ডিজিটাল নথি চিহ্নিত করেছে, যা আগে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। এই নথিগুলোর মধ্যে এমন কিছু তথ্য থাকতে পারে, যা এতদিন পর্যন্ত তদন্তের বাইরে ছিল।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর, টেক্সাসের ডালাস শহরে আততায়ী গুলিতে নিহত হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। তাঁর হত্যার পর থেকে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি হয়ে ওঠে এটি। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উঠে এসেছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এখনও নানা প্রশ্ন রয়েছে।

সরকারি তদন্তে লী হার্ভে অসওয়াল্ড নামের এক বন্দুকধারীকে হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে অনেকেই মনে করেন, এর পেছনে আরও গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। এই নতুন নথিগুলো প্রকাশের মাধ্যমে সেই রহস্য উন্মোচিত হবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এতদিন পরেও হয়তো প্রকৃত সত্য গোপনই থাকবে। তবে একাধিক মার্কিন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই নথিগুলোর প্রকাশ সত্যের সন্ধান আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।