আবারও গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার কারণে জাতিসংঘ মহাসচিবের ক্ষোভ

- আপডেট সময় ১২:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / 29
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এক রাতেই ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। পাশাপাশি, তিনি ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনরায় চালুর আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, জাতিসংঘ মহাসচিব ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমি আবারও যুদ্ধবিরতি মেনে চলার, মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত করার এবং আটক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অনেক রাষ্ট্রই এ হামলাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থাও। কাতার, তুরস্ক, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
গাজায় হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই, জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব চরমে পৌঁছেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই, ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজার মানুষের প্রতি অব্যাহত সহিংসতা এবং মানবিক সহায়তা অবরুদ্ধ রাখায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলার দাবি উঠছে। তবে ইসরায়েল এখনও হামলা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার জানিয়ে বলেছে, তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দমন করতেই এই অভিযান চালাচ্ছে।
এই হামলার ফলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্রতর হয়েছে, যেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, যদি দ্রুত এই হামলা বন্ধ না করা হয়, তবে গাজায় আরও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।