ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন সিনেটরের সৌজন্য সাক্ষাৎ: সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব বিশ্ববাজারে কমলো সয়াবিন-ক্যানোলা তেলের দাম, ঊর্ধ্বমুখী সানফ্লাওয়ার-পাম তেল এনআইডি ইস্যুতে ‘অপারেশনাল হল্ট’ স্থগিত, দাবি আদায়ে কঠোর হুঁশিয়ারি সৌদি কর্তৃপক্ষ ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেনি: ধর্ম উপদেষ্টা তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও গুরুতর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না : অর্থ উপদেষ্টা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আটকে গেল নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ঈদের সিনেমার হাওয়া: প্রশংসায় এগিয়ে ‘জংলি’ ও ‘দাগি’ পটুয়াখালীর নদ-নদীতে নাব্যতা সংকট, চরম ভোগান্তিতে উপকূলবাসী

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে মানবতা, একের পর এক বেরিয়ে আসছে মরদেহ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজা শহরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসছে মরদেহ। আতঙ্ক আর কান্নার মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের খুঁজছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার হওয়া দেহগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আল-আহলি আরব হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির এই চিত্র।

গত কয়েকদিনে গাজাজুড়ে চলা ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর গাজাতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫৪ জন। নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাও।

বেঁচে ফেরা বাসিন্দারা বলেন, ‘সেহরির আগে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বোমার বিকট শব্দে মনে হলো পুরো বাড়িটাই আমাদের ওপর ভেঙে পড়েছে। চারপাশে শুধু ধ্বংস আর মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ।’

পশ্চিম গাজা শহরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে বোমার আঘাতে নিহতদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে রাস্তায় ও বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নিখোঁজ বহু মানুষের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ফলে আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছেন বাসিন্দারা।

গাজায় মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চললেও বন্দি বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতপার্থক্যের কারণে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে স্থল অভিযানের হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিব জানিয়েছে, আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালানো হবে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই সংঘাতের নতুন ধাপে গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে মানবতা, একের পর এক বেরিয়ে আসছে মরদেহ

আপডেট সময় ০২:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

গাজা শহরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসছে মরদেহ। আতঙ্ক আর কান্নার মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের খুঁজছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার হওয়া দেহগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আল-আহলি আরব হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির এই চিত্র।

গত কয়েকদিনে গাজাজুড়ে চলা ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর গাজাতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫৪ জন। নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাও।

বেঁচে ফেরা বাসিন্দারা বলেন, ‘সেহরির আগে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বোমার বিকট শব্দে মনে হলো পুরো বাড়িটাই আমাদের ওপর ভেঙে পড়েছে। চারপাশে শুধু ধ্বংস আর মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ।’

পশ্চিম গাজা শহরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে বোমার আঘাতে নিহতদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে রাস্তায় ও বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নিখোঁজ বহু মানুষের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ফলে আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছেন বাসিন্দারা।

গাজায় মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চললেও বন্দি বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতপার্থক্যের কারণে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে স্থল অভিযানের হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিব জানিয়েছে, আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালানো হবে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই সংঘাতের নতুন ধাপে গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।