ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি: ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় অনেক বিষয়ে একমত

- আপডেট সময় ১০:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
- / 33
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন সংকট নিরসনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইতিমধ্যে ‘অনেক বিষয়ে’ ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে। আজ মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির পথে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে উভয় পক্ষের প্রায় আড়াই হাজার সেনাসদস্য নিহত হচ্ছে। এই বিপর্যয় এখনই থামানো দরকার।’ এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি কার্যকর শান্তিচুক্তির জন্য কাজ করছি। যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা নেতারা সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য পুতিনকে ‘সত্যিকারের শান্তি প্রচেষ্টার’ প্রমাণ দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, রুশ প্রেসিডেন্টকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে মাখোঁ লিখেছেন, ‘অনেক মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ ও ভয়াবহতা ইতোমধ্যেই হয়েছে। বন্দুকের শব্দ থামানো দরকার।’
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের সামনে বলেন, ‘পুতিনকে শর্তহীনভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। এখনো তাঁর মধ্যে প্রকৃত আন্তরিকতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের আগে আশাবাদী সুরে কথা বলেছে হোয়াইট হাউস। দেশটির প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘ট্রাম্প শান্তিচুক্তির জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনায় তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবেন।’ বিশ্ববাসীর নজর এখন এই আলোচনার দিকে। ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ ইউক্রেন সংকট সমাধানে বাস্তবসম্মত কোনো নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।