ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে সরকারি তিন দপ্তরে শীর্ষ পদে রদবদল শক্তিশালী ষড়যন্ত্রের ছায়ায় বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় শক্তির জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দুই বিভাগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’, অবস্থা আরো অবনতির পথে রংপুরে একযুগ পর শিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যার বিচার চেয়ে আ. লীগের দুই সাবেক এমপির নামে মামলা বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম শাহবাগীদের কারণে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হলেন হাসিনা: শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৪

ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার: সেনেগালের দুটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ফ্রান্স সেনেগালে তার দুটি প্রধান সামরিক ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে। এই পদক্ষেপটি গত নভেম্বরে সেনেগাল সরকার কর্তৃক ঘোষিত পরিকল্পনার অংশ, যেখানে জানানো হয়েছিল যে, ২০২৫ সালের শেষের মধ্যে ফরাসি সেনারা দেশটি ছেড়ে যাবে।

এটি ফ্রান্সের আফ্রিকায় সামরিক উপস্থিতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আফ্রিকা মহাদেশে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি শুধুমাত্র দুটি দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে—জিবুতি এবং গ্যাবন, যেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল নয়টি।

বর্তমানে, ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী আফ্রিকায় তার প্রভাব কমিয়ে আনছে, এবং শুধুমাত্র দুটি দেশে তাদের উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে। জিবুতি এবং গ্যাবনে প্রায় ১,৫০০ এবং ৩৫০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে, যা কেবলমাত্র এই দুটি দেশে তাদের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের এই পদক্ষেপ আফ্রিকার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। ফরাসি সেনাদের দীর্ঘদিনের উপস্থিতি আফ্রিকায় নানা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এখন, সেনেগাল থেকে ফরাসি সেনাদের প্রত্যাহার আফ্রিকার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যেখানে দেশগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হতে পারে।

এই পরিবর্তন শুধু সামরিক উপস্থিতির বিষয় নয়, বরং আফ্রিকা ও ফ্রান্সের সম্পর্কের উন্নয়নেও একটি নতুন দিক সূচিত করবে। আগামী বছরে, ফরাসি সেনাদের উপস্থিতি সীমিত হয়ে যাবে এবং আফ্রিকার নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধি পাবে এটি সময়ের সাথে দেখা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
৫০৪ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার: সেনেগালের দুটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ

আপডেট সময় ০১:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

ফ্রান্স সেনেগালে তার দুটি প্রধান সামরিক ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে। এই পদক্ষেপটি গত নভেম্বরে সেনেগাল সরকার কর্তৃক ঘোষিত পরিকল্পনার অংশ, যেখানে জানানো হয়েছিল যে, ২০২৫ সালের শেষের মধ্যে ফরাসি সেনারা দেশটি ছেড়ে যাবে।

এটি ফ্রান্সের আফ্রিকায় সামরিক উপস্থিতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আফ্রিকা মহাদেশে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি শুধুমাত্র দুটি দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে—জিবুতি এবং গ্যাবন, যেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল নয়টি।

বর্তমানে, ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী আফ্রিকায় তার প্রভাব কমিয়ে আনছে, এবং শুধুমাত্র দুটি দেশে তাদের উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে। জিবুতি এবং গ্যাবনে প্রায় ১,৫০০ এবং ৩৫০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে, যা কেবলমাত্র এই দুটি দেশে তাদের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের এই পদক্ষেপ আফ্রিকার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। ফরাসি সেনাদের দীর্ঘদিনের উপস্থিতি আফ্রিকায় নানা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এখন, সেনেগাল থেকে ফরাসি সেনাদের প্রত্যাহার আফ্রিকার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যেখানে দেশগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হতে পারে।

এই পরিবর্তন শুধু সামরিক উপস্থিতির বিষয় নয়, বরং আফ্রিকা ও ফ্রান্সের সম্পর্কের উন্নয়নেও একটি নতুন দিক সূচিত করবে। আগামী বছরে, ফরাসি সেনাদের উপস্থিতি সীমিত হয়ে যাবে এবং আফ্রিকার নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধি পাবে এটি সময়ের সাথে দেখা যাবে।