১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নতি, ভারত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 83

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্ক ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ নাগরিক চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক মত দিয়েছেন ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অলটারনেটিভস কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি’ শীর্ষক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে। জরিপটি পরিচালিত হয় গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে, যেখানে ৩২টি জেলার ৫ হাজার ৩৫৫ জন অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের পর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হচ্ছে। অন্যদিকে, ২৬ শতাংশের মতে, সম্পর্কের অবস্থা তেমন ভালো বা মন্দ কোনোটাই নয়। চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছেন ৭৯ শতাংশ, অর্থনীতিকে ৭৪ শতাংশ এবং রাজনীতিকে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া ৯৯ শতাংশ উত্তরদাতা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সমর্থন করেছেন, যা দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, চীনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থা বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করবে।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা উচ্চশিক্ষার জন্য চীনে যেতে আগ্রহী, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া, ২৯ শতাংশ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য চীনকে বেছে নিতে চান, যা আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। চীনের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে এগিয়ে যাবে এবং চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির সাবেক রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ শাহনেওয়াজ মহসিন। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে এটাই ছিল তৃতীয়বার পরিচালিত জাতীয় জনমত জরিপ, যা দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নতি, ভারত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ১১:১১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্ক ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ নাগরিক চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক মত দিয়েছেন ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অলটারনেটিভস কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি’ শীর্ষক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে। জরিপটি পরিচালিত হয় গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে, যেখানে ৩২টি জেলার ৫ হাজার ৩৫৫ জন অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের পর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হচ্ছে। অন্যদিকে, ২৬ শতাংশের মতে, সম্পর্কের অবস্থা তেমন ভালো বা মন্দ কোনোটাই নয়। চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছেন ৭৯ শতাংশ, অর্থনীতিকে ৭৪ শতাংশ এবং রাজনীতিকে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া ৯৯ শতাংশ উত্তরদাতা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সমর্থন করেছেন, যা দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, চীনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থা বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করবে।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা উচ্চশিক্ষার জন্য চীনে যেতে আগ্রহী, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া, ২৯ শতাংশ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য চীনকে বেছে নিতে চান, যা আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। চীনের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে এগিয়ে যাবে এবং চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির সাবেক রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ শাহনেওয়াজ মহসিন। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে এটাই ছিল তৃতীয়বার পরিচালিত জাতীয় জনমত জরিপ, যা দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিয়েছে।