ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পকে মার্ক কার্নির কড়া বার্তা, জানান দিলেন কানাডার শক্তির কথা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মার্ক কার্নি তার বিজয় ভাষণে এক বিশাল বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ৫৯ বছর বয়সী কার্নি তার ভাষণের মাধ্যমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করেন।

তিনি বলেন, “আমেরিকা কখনো ভুল না করলে ভালো, কিন্তু যদি কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করা হয় কিংবা আমাদেরকে ৫১তম রাজ্য বানানোর হুমকি দেয়া হয়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। কারণ বাণিজ্য, যেমন হকি, সেখানে কানাডাই জয়ী হবে।”

রবিবার রাতে, ৯ মার্চ, কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি মার্ক কার্নিকে দলের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা তার নাম কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। কার্নি, যিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ভাষণের মধ্যে একটি স্পষ্ট বার্তা ছিল—”আমরা নতুন ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করব, যেটি আরও নির্ভরযোগ্য দেশগুলোর সঙ্গে হবে।”

কার্নি আরো বলেন, “আমেরিকা যদি তাদের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে দেয়, তবে আমাদেরও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে। আমেরিকানরা যতদিন আমাদের সম্মান করবে না, ততদিন পারস্পরিক শুল্ক বহাল থাকবে।”

কার্নি ট্রাম্পের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ তৈরি করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা আমাদের সম্পদ, পানি, জমি সব কিছু ছিনিয়ে নিতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেবো না। ট্রাম্প, তার সরকার, এবং আমেরিকানরা কানাডার শ্রমিক, পরিবার এবং বাণিজ্যকে বারবার আক্রমণ করছে এটা চলতে দেয়া যাবে না।”

এই বার্তা শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি কানাডার আঞ্চলিক স্বাধিকারের প্রতি একটি দৃঢ় মনোভাব, যা দেশের মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:১৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পকে মার্ক কার্নির কড়া বার্তা, জানান দিলেন কানাডার শক্তির কথা

আপডেট সময় ০৪:১৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মার্ক কার্নি তার বিজয় ভাষণে এক বিশাল বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ৫৯ বছর বয়সী কার্নি তার ভাষণের মাধ্যমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করেন।

তিনি বলেন, “আমেরিকা কখনো ভুল না করলে ভালো, কিন্তু যদি কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করা হয় কিংবা আমাদেরকে ৫১তম রাজ্য বানানোর হুমকি দেয়া হয়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। কারণ বাণিজ্য, যেমন হকি, সেখানে কানাডাই জয়ী হবে।”

রবিবার রাতে, ৯ মার্চ, কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি মার্ক কার্নিকে দলের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা তার নাম কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। কার্নি, যিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ভাষণের মধ্যে একটি স্পষ্ট বার্তা ছিল—”আমরা নতুন ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করব, যেটি আরও নির্ভরযোগ্য দেশগুলোর সঙ্গে হবে।”

কার্নি আরো বলেন, “আমেরিকা যদি তাদের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে দেয়, তবে আমাদেরও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে। আমেরিকানরা যতদিন আমাদের সম্মান করবে না, ততদিন পারস্পরিক শুল্ক বহাল থাকবে।”

কার্নি ট্রাম্পের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ তৈরি করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা আমাদের সম্পদ, পানি, জমি সব কিছু ছিনিয়ে নিতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেবো না। ট্রাম্প, তার সরকার, এবং আমেরিকানরা কানাডার শ্রমিক, পরিবার এবং বাণিজ্যকে বারবার আক্রমণ করছে এটা চলতে দেয়া যাবে না।”

এই বার্তা শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি কানাডার আঞ্চলিক স্বাধিকারের প্রতি একটি দৃঢ় মনোভাব, যা দেশের মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।