কানাডায় শুরু হলো মার্কিন পণ্যের বয়কট: ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ার শঙ্কা
কানাডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে, যা কানাডায় মার্কিন কোম্পানির ব্যবসার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। ২ এপ্রিল পর্যন্ত কানাডায় পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখলেও, ইতিমধ্যে কানাডায় মার্কিন পণ্যের বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের। সিএনবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখনো মার্কিন কৃষিপণ্য, মাংস ও গাড়ির বিক্রি সংকটে পড়তে পারে। এমনকি মার্কিন হোটেল ও বিমান পরিবহন কোম্পানিরাও চাপের মুখে পড়তে পারে, যার ফলে কানাডায় বিলাসী মার্কিন পণ্যের বিক্রি মার খাবে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ কানাডার ক্রেতাদের মধ্যে এখন “বাই কানাডীয়” বা “কানাডার পণ্য কিনুন” ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। জ্যাক ড্যানিয়েলসের মূল কোম্পানি ব্রাউন ফরম্যানের প্রধান নির্বাহী লসন হুইটিং জানিয়েছেন, কানাডার অনেক দোকানে এই হুইস্কি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও কানাডায় জ্যাক ড্যানিয়েলসের বিক্রি মাত্র ১ শতাংশ, তবুও তিনি সতর্ক করেছেন, এই ক্ষতি বড় আকার নিতে পারে। কানাডার ক্রেতারা এখন বিদেশি পণ্য বয়কট করতে শুরু করেছেন।
এছাড়া, ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াইন শিল্পও উদ্বিগ্ন। মার্কিন ওয়াইনের অন্যতম বড় বাজার হচ্ছে কানাডা, যেখানে বছরে ১.১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ওয়াইন বিক্রি হয়। ওয়াইন ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট রবার্ট পি কচ জানিয়েছেন, শুল্কের হুমকি ওয়াইন শিল্পের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
পরামর্শক সংস্থা কিয়ার্নির জ্যেষ্ঠ অংশীদার গ্রেগ পর্টেল মনে করেন, মার্কিন কোম্পানির বিক্রি বন্ধ হওয়া কখনোই ভালো লক্ষণ নয়। তিনি আরও বলেন, এটি মার্কিন কোম্পানির জন্য বড় ধরনের অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে।
অবশ্য, মার্কিন কোম্পানিগুলোর ব্যবসার উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে যদি কানাডাসহ অন্যান্য দেশ একযোগে মার্কিন পণ্য বয়কটের পথে হাঁটে।