ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী নির্বাচন: সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রশাসন নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন

ট্রুডো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। এর মাধ্যমে দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডোর দীর্ঘ প্রায় এক দশকের শাসনের পর নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হলো।

রবিবার (৯ মার্চ) রাতে কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন কার্নি। নিয়ম অনুযায়ী, লিবারেল পার্টির প্রধান হওয়ায় তিনিই কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শিগগিরই তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলীয় ভোটাভুটিতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট, যা কার্নির বিপুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ বহন করে।

রবিবার রাতে লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্নির নাম ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে তিনি কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পথে এগিয়ে গেলেন।

মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দেন। তার গভীর অর্থনৈতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে তাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে নবাগত হলেও তার নেতৃত্বদানের সামর্থ্য তাকে জনপ্রিয় করেছে।

টানা নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। এরপর থেকেই লিবারেল পার্টির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। দলের শীর্ষ পদে পরিবর্তনের সঙ্গে কানাডার রাজনৈতিক দৃশ্যপটেও বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সে সবচেয়ে বড় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হন। সেই নিয়ম অনুসারে, লিবারেল পার্টির প্রধান হওয়ায় কার্নিই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিজ্ঞ ব্যাংকার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া কার্নির জন্য এটি এক নতুন চ্যালেঞ্জ। তার নেতৃত্বে কানাডার রাজনীতি এবং অর্থনীতি কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৫১৬ বার পড়া হয়েছে

ট্রুডো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

আপডেট সময় ১১:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। এর মাধ্যমে দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডোর দীর্ঘ প্রায় এক দশকের শাসনের পর নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হলো।

রবিবার (৯ মার্চ) রাতে কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন কার্নি। নিয়ম অনুযায়ী, লিবারেল পার্টির প্রধান হওয়ায় তিনিই কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শিগগিরই তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলীয় ভোটাভুটিতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট, যা কার্নির বিপুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ বহন করে।

রবিবার রাতে লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্নির নাম ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে তিনি কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পথে এগিয়ে গেলেন।

মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দেন। তার গভীর অর্থনৈতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে তাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে নবাগত হলেও তার নেতৃত্বদানের সামর্থ্য তাকে জনপ্রিয় করেছে।

টানা নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। এরপর থেকেই লিবারেল পার্টির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। দলের শীর্ষ পদে পরিবর্তনের সঙ্গে কানাডার রাজনৈতিক দৃশ্যপটেও বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সে সবচেয়ে বড় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হন। সেই নিয়ম অনুসারে, লিবারেল পার্টির প্রধান হওয়ায় কার্নিই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিজ্ঞ ব্যাংকার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া কার্নির জন্য এটি এক নতুন চ্যালেঞ্জ। তার নেতৃত্বে কানাডার রাজনীতি এবং অর্থনীতি কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।