ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল বন্যায় আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাংকায় ১৩ জনের প্রাণহানি, ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাংকা বন্দরে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ১,২০০ এরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামোও।

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, তীব্র ঝড়ের পর সৃষ্ট বন্যায় শহরের রাস্তাঘাট ও সেতু ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টিপাত ছিল অত্যন্ত ভারী, যার পরিমাণ শুক্রবার ৪০০ মিলিমিটারের (১৫.৭ ইঞ্চি) বেশি ছিল, যা শহরের প্রতিবছরের গড় বৃষ্টিপাতের এক-তৃতীয়াংশের সমান। এই বন্যায় পানির তোড়ে গাড়িগুলো ভেসে চলে গেছে, এবং তা রাস্তার ওপর স্তূপ হয়ে পড়ে আছে।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই ভয়াবহ বৃষ্টির পর শহরের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রাদেশিক সরকার উদ্ধারকাজে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে, হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর পাশাপাশি খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীও উদ্ধারকার্য শুরু করেছে।

বাহিয়া ব্লাংকায় এই বিপর্যয়ের ফলে শহরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য দ্রুততম সহায়তা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও, আরো অনেক মানুষ আটকে আছেন শহরের বিভিন্ন এলাকায়।

এমন পরিস্থিতিতে, দেশটির সরকার এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবল বন্যায় আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাংকায় ১৩ জনের প্রাণহানি, ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ

আপডেট সময় ০৮:৩১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাংকা বন্দরে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ১,২০০ এরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামোও।

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, তীব্র ঝড়ের পর সৃষ্ট বন্যায় শহরের রাস্তাঘাট ও সেতু ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টিপাত ছিল অত্যন্ত ভারী, যার পরিমাণ শুক্রবার ৪০০ মিলিমিটারের (১৫.৭ ইঞ্চি) বেশি ছিল, যা শহরের প্রতিবছরের গড় বৃষ্টিপাতের এক-তৃতীয়াংশের সমান। এই বন্যায় পানির তোড়ে গাড়িগুলো ভেসে চলে গেছে, এবং তা রাস্তার ওপর স্তূপ হয়ে পড়ে আছে।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই ভয়াবহ বৃষ্টির পর শহরের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রাদেশিক সরকার উদ্ধারকাজে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে, হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর পাশাপাশি খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীও উদ্ধারকার্য শুরু করেছে।

বাহিয়া ব্লাংকায় এই বিপর্যয়ের ফলে শহরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য দ্রুততম সহায়তা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও, আরো অনেক মানুষ আটকে আছেন শহরের বিভিন্ন এলাকায়।

এমন পরিস্থিতিতে, দেশটির সরকার এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে।