ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরমাণু ইস্যুতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত: ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করলেন খামেনি, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার আশঙ্কা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে চিঠি পাঠানোর দাবি করেন। তবে তেহরান এমন কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

শনিবার (৮ মার্চ) তেহরানে এক ভাষণে খামেনি স্পষ্ট করে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা নয়, বরং ইরানের প্রতিরক্ষা ও আন্তর্জাতিক নীতিতে হস্তক্ষেপ করা। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার নামে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা তেহরান কখনোই মেনে নেবে না।

এর আগে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি আশা করি ইরান আলোচনায় বসবে, কারণ এটি তাদের জন্য ভালো হবে।’ পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন, তেহরান রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে।

তবে ইরানের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি। বরং দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ আলোচনার নামে নিজেদের স্বার্থ চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। খামেনি বলেন, ‘তাদের লক্ষ্য আলোচনা নয়, বরং আমাদের শর্ত মেনে নেওয়া। ইতিহাস সাক্ষী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে ইরান কখনোই সুফল পায়নি।’

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইরানের প্রধান রফতানি খাত তেলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা তেহরানের অর্থনীতির ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এসব নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ইরানকে কূটনৈতিকভাবে চাপের মুখে রাখা।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, ইরান দ্রুত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সতর্ক করেছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইরান তার সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাড়াতে দেওয়া হবে না। এতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পরমাণু ইস্যুতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত: ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করলেন খামেনি, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার আশঙ্কা

আপডেট সময় ১১:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে চিঠি পাঠানোর দাবি করেন। তবে তেহরান এমন কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

শনিবার (৮ মার্চ) তেহরানে এক ভাষণে খামেনি স্পষ্ট করে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা নয়, বরং ইরানের প্রতিরক্ষা ও আন্তর্জাতিক নীতিতে হস্তক্ষেপ করা। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার নামে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা তেহরান কখনোই মেনে নেবে না।

এর আগে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি আশা করি ইরান আলোচনায় বসবে, কারণ এটি তাদের জন্য ভালো হবে।’ পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন, তেহরান রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে।

তবে ইরানের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি। বরং দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ আলোচনার নামে নিজেদের স্বার্থ চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। খামেনি বলেন, ‘তাদের লক্ষ্য আলোচনা নয়, বরং আমাদের শর্ত মেনে নেওয়া। ইতিহাস সাক্ষী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে ইরান কখনোই সুফল পায়নি।’

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইরানের প্রধান রফতানি খাত তেলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা তেহরানের অর্থনীতির ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এসব নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ইরানকে কূটনৈতিকভাবে চাপের মুখে রাখা।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, ইরান দ্রুত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সতর্ক করেছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইরান তার সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাড়াতে দেওয়া হবে না। এতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।