জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারঃ বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, দায়ীদের অবশ্যই বিচার হবে

- আপডেট সময় ১১:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / 35
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তিনি বলেন, এই ঘটনার দায়ীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। বুধবার (৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে এক মানবাধিকার অধিবেশনে তিনি এই মন্তব্য করেন, যেখানে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৃশংসতা এবং নিপীড়নের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
তুর্ক তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় শুধু আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মকাণ্ডই নয়, বিগত সরকারের পক্ষ থেকেও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যে নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল।’’
প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ভলকার তুর্ক বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের ওই অন্ধকার দিনের বাস্তবতা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এখন একটি বড় সুযোগের সামনে রয়েছে। অতীতের বেদনা ও সংঘাত পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সময় এসেছে।’’
অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহমুদুর রহমান স্নিগ্ধ এবং মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম। তারা জানিয়ে দেন, কীভাবে হাসিনা সরকারের বাহিনী তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ করেছে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও বক্তব্য রাখেন, তিনি বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্টের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে।’’
এই অধিবেশনে একাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।