পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় আত্মঘাতী হামলা: ৭ শিশুসহ নিহত ১২

- আপডেট সময় ১১:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / 19
উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি নিরাপত্তা স্থাপনায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় সাত শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলা হয়, যেখানে আত্মঘাতী হামলাকারীরা বিস্ফোরক ভর্তি যান নিয়ে নিরাপত্তা স্থাপনার দেয়ালে আঘাত হানে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, ইফতারের পর স্থানীয় বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যেই হামলাটি চালানো হয়। বিস্ফোরণের ফলে পাশের একটি মসজিদের ছাদ ধসে পড়ে, যা হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।
ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী সশস্ত্র হামলাকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে তৎপর হয়। কর্মকর্তারা জানান, সংঘর্ষে ছয়জন হামলাকারী নিহত হয়েছে। বান্নু হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ নওমান জানান, নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও লোক আটকা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় রেসকিউ ১১২২ টিম উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
হামলার দায় স্বীকার করেছে জৈশ আল-ফুরসান নামের একটি গোষ্ঠী, যা পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিস্ফোরণে নিরাপত্তা স্থাপনাটির বাইরে দুটি বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয় এবং আশপাশের অন্তত আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “আমরা দেশের শত্রুদের অশুভ উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে দেব না।”
এই হামলার কয়েকদিন আগেই একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছিল। রমজান শুরু হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানে সহিংসতার মাত্রা বেড়ে গেছে, বিশেষ করে আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর হামলার নিন্দা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিবেদন চেয়েছেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক হামলাগুলো দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।