গাজায় ইসরায়েলের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ ও ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে বাধা, মধ্যস্থতার আহ্বান হামাসের
গতকাল রবিবার গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল। হামাস এ বিষয়ে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলি পদক্ষেপকে ধিক্কার জানিয়ে বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ নিন্দা জানিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মিসর এবং কাতার দাবি করেছে যে, ইসরায়েল রবিবারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার এক বিবৃতিতে একে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাস ত্রাণ সরবরাহ চুরি করছে এবং তা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
কাতার ও মিসর ইসরায়েলের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন’ লঙ্ঘন। দুই দেশই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। সৌদি আরবও এই অবরোধের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, হামাস গাজার জনগণের জন্য আসা ত্রাণ চুরি করে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত করছে, যা ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে হামাস এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ত্রাণ চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতি সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে। হামাসের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ বৃদ্ধি করতে চাইলেও হামাস দ্বিতীয় ধাপের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
এদিকে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, এ হামলা সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করে করা হয়।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে, হামাস ইসরায়েলের পদক্ষেপকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ এবং ‘চুক্তির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে, এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি একযোগে চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে।