ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

তুরস্কের সঙ্গে ৪০ বছরের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, পিকেকের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

তুরস্কের সঙ্গে চলমান ৪০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। এই ঘোষণার পাশাপাশি, পিকেকের প্রতিষ্ঠাতা ও কারাবন্দি নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দলটি।

শনিবার, পিকেকপন্থী সংবাদ সংস্থা ফিরাত (এএনএফ) জানিয়েছে, এ ঘটনা তুরস্কের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সংঘাতের অবসানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পিকেকের নির্বাহী কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘শান্তি ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের আহ্বান বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করতে, আমরা আজ (শনিবার) থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছি।’’

পিকেকে আরো জানিয়েছে, ‘‘আমরা এই আহ্বানে একমত এবং এটি অনুসরণ করব। যদি কোনো বাহিনী আক্রমণের শিকার না হয়, তবে তারা কোনো সশস্ত্র পদক্ষেপ নেবে না।’’ একই সঙ্গে তারা দাবি করেছে, তুরস্ক সরকার আবদুল্লাহ ওকালানকে মুক্তি দেবে, যাতে তিনি নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।

গত বৃহস্পতিবার, কারাগার থেকে আবদুল্লাহ ওকালান তার সংগঠনকে অস্ত্র ত্যাগ এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম বন্ধ করার আহ্বান জানান। ৭৫ বছর বয়সী ওকালান ১৯৯৯ সাল থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে ইস্তাম্বুলের ইমরালি দ্বীপে বন্দি রয়েছেন। তবে বন্দি অবস্থাতেও তার প্রভাব পিকেকের উপর গভীরভাবে বিদ্যমান।

ওকালানের আহ্বানের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এটি ঐতিহাসিক একটি সুযোগ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে, তার সরকার এই আলোচনাকে সফল পরিণতিতে পৌঁছানোর জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ১৯৮৪ সাল থেকে গোষ্ঠীটি তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে, যার লক্ষ্য কুর্দিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

তুরস্কের সঙ্গে ৪০ বছরের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, পিকেকের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

আপডেট সময় ০৪:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

 

তুরস্কের সঙ্গে চলমান ৪০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। এই ঘোষণার পাশাপাশি, পিকেকের প্রতিষ্ঠাতা ও কারাবন্দি নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দলটি।

শনিবার, পিকেকপন্থী সংবাদ সংস্থা ফিরাত (এএনএফ) জানিয়েছে, এ ঘটনা তুরস্কের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সংঘাতের অবসানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পিকেকের নির্বাহী কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘শান্তি ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের আহ্বান বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করতে, আমরা আজ (শনিবার) থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছি।’’

পিকেকে আরো জানিয়েছে, ‘‘আমরা এই আহ্বানে একমত এবং এটি অনুসরণ করব। যদি কোনো বাহিনী আক্রমণের শিকার না হয়, তবে তারা কোনো সশস্ত্র পদক্ষেপ নেবে না।’’ একই সঙ্গে তারা দাবি করেছে, তুরস্ক সরকার আবদুল্লাহ ওকালানকে মুক্তি দেবে, যাতে তিনি নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।

গত বৃহস্পতিবার, কারাগার থেকে আবদুল্লাহ ওকালান তার সংগঠনকে অস্ত্র ত্যাগ এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম বন্ধ করার আহ্বান জানান। ৭৫ বছর বয়সী ওকালান ১৯৯৯ সাল থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে ইস্তাম্বুলের ইমরালি দ্বীপে বন্দি রয়েছেন। তবে বন্দি অবস্থাতেও তার প্রভাব পিকেকের উপর গভীরভাবে বিদ্যমান।

ওকালানের আহ্বানের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এটি ঐতিহাসিক একটি সুযোগ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে, তার সরকার এই আলোচনাকে সফল পরিণতিতে পৌঁছানোর জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ১৯৮৪ সাল থেকে গোষ্ঠীটি তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে, যার লক্ষ্য কুর্দিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।