ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েলের উদ্বেগ: নতুন সংঘাতের শঙ্কা?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সীমান্ত সংলগ্ন এই এলাকায় ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হচ্ছে, যা নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বাড়ছে

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ সিরিয়ায় হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)-এর কয়েক হাজার যোদ্ধা অবস্থান করছে। তারা নতুন ফ্রন্ট খোলার চেষ্টা করছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে, সম্প্রতি বন্দি মুক্তির মাধ্যমে এসব গোষ্ঠীর শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমাদের অভিজ্ঞতা গাজা ও লেবাননে দেখিয়েছে, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতি কেমন পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই আমরা আরেকটি যুদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি হতে দিতে পারি না।”

সিরিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে গোলান মালভূমির সংলগ্ন এলাকা, দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের কৌশলগত দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর এই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। ফলে ইসরায়েল সেখানে নিয়মিত হামলা চালিয়েছে, যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল চাইছে সিরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তকে তার প্রতিরক্ষা বলয়ের অংশ হিসেবে ধরে রাখতে। অন্যদিকে, হামাস ও পিআইজে সেখানে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা?

ইসরায়েলের উদ্বেগ স্পষ্ট দক্ষিণ সিরিয়ায় সহিংসতা বাড়লে তা সরাসরি ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই অঞ্চলে হামাস ও পিআইজে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তবে ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালানোর পথ বেছে নিতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সংঘাতের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েলের উদ্বেগ: নতুন সংঘাতের শঙ্কা?

আপডেট সময় ০৫:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সীমান্ত সংলগ্ন এই এলাকায় ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হচ্ছে, যা নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বাড়ছে

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ সিরিয়ায় হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)-এর কয়েক হাজার যোদ্ধা অবস্থান করছে। তারা নতুন ফ্রন্ট খোলার চেষ্টা করছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে, সম্প্রতি বন্দি মুক্তির মাধ্যমে এসব গোষ্ঠীর শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমাদের অভিজ্ঞতা গাজা ও লেবাননে দেখিয়েছে, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতি কেমন পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই আমরা আরেকটি যুদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি হতে দিতে পারি না।”

সিরিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে গোলান মালভূমির সংলগ্ন এলাকা, দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের কৌশলগত দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর এই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। ফলে ইসরায়েল সেখানে নিয়মিত হামলা চালিয়েছে, যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল চাইছে সিরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তকে তার প্রতিরক্ষা বলয়ের অংশ হিসেবে ধরে রাখতে। অন্যদিকে, হামাস ও পিআইজে সেখানে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা?

ইসরায়েলের উদ্বেগ স্পষ্ট দক্ষিণ সিরিয়ায় সহিংসতা বাড়লে তা সরাসরি ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই অঞ্চলে হামাস ও পিআইজে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তবে ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালানোর পথ বেছে নিতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সংঘাতের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।