ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের যুদ্ধ রোবটে বিধ্বংসী থার্মোবারিক অস্ত্র সংযোজনের প্রস্তাব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

চীনের সামরিক প্রযুক্তিতে আরেকটি নতুন সংযোজন আসতে পারে। দেশটির বিজ্ঞানীরা যুদ্ধ রোবটকে বিধ্বংসী থার্মোবারিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নগরযুদ্ধ মহড়ার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হালকা অস্ত্রে সজ্জিত ড্রোন শহুরে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকরভাবে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে পারছে না।

চীনের সামরিক গবেষকরা বলছেন, এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে ভূমিতে চলাচলকারী সাঁজোয়া যুদ্ধ রোবট ব্যবহার করা যেতে পারে, যা থার্মোবারিক অস্ত্র বহন করবে। এ ধরনের অস্ত্র ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতা সম্পন্ন, যা বিস্ফোরণের ফলে ২,৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ উৎপন্ন করতে পারে এবং আশপাশের ৮০ মিটারের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বিজ্ঞানীরা আধুনিক শহুরে যুদ্ধক্ষেত্রের চাহিদা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা করছেন। প্রস্তাবিত মডেলে ড্রোনের ভূমিকা থাকবে শত্রুর অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য, আর রোবট সরাসরি আঘাত হানবে। এতে যুদ্ধের কার্যকারিতা বহুগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থার্মোবারিক অস্ত্রের সংযোজন যুদ্ধের নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এই ধরনের অস্ত্র প্রচলিত বিস্ফোরকের চেয়ে অনেক বেশি বিধ্বংসী এবং শত্রুপক্ষের জন্য রক্ষণের সুযোগ কমিয়ে দেয়। তবে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে এই অস্ত্রের ব্যবহার বিতর্কিত হতে পারে, কারণ এটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তীব্র তাপ ও শকওয়েভ তৈরি করে, যা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্বের অনেক দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট ব্যবহারের দিকেই এগোচ্ছে। চীনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতের সামরিক কৌশল আরও বিপজ্জনক ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের যুদ্ধ রোবটে বিধ্বংসী থার্মোবারিক অস্ত্র সংযোজনের প্রস্তাব

আপডেট সময় ০৬:০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

চীনের সামরিক প্রযুক্তিতে আরেকটি নতুন সংযোজন আসতে পারে। দেশটির বিজ্ঞানীরা যুদ্ধ রোবটকে বিধ্বংসী থার্মোবারিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নগরযুদ্ধ মহড়ার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হালকা অস্ত্রে সজ্জিত ড্রোন শহুরে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকরভাবে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে পারছে না।

চীনের সামরিক গবেষকরা বলছেন, এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে ভূমিতে চলাচলকারী সাঁজোয়া যুদ্ধ রোবট ব্যবহার করা যেতে পারে, যা থার্মোবারিক অস্ত্র বহন করবে। এ ধরনের অস্ত্র ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতা সম্পন্ন, যা বিস্ফোরণের ফলে ২,৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ উৎপন্ন করতে পারে এবং আশপাশের ৮০ মিটারের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বিজ্ঞানীরা আধুনিক শহুরে যুদ্ধক্ষেত্রের চাহিদা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা করছেন। প্রস্তাবিত মডেলে ড্রোনের ভূমিকা থাকবে শত্রুর অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য, আর রোবট সরাসরি আঘাত হানবে। এতে যুদ্ধের কার্যকারিতা বহুগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থার্মোবারিক অস্ত্রের সংযোজন যুদ্ধের নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এই ধরনের অস্ত্র প্রচলিত বিস্ফোরকের চেয়ে অনেক বেশি বিধ্বংসী এবং শত্রুপক্ষের জন্য রক্ষণের সুযোগ কমিয়ে দেয়। তবে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে এই অস্ত্রের ব্যবহার বিতর্কিত হতে পারে, কারণ এটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তীব্র তাপ ও শকওয়েভ তৈরি করে, যা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্বের অনেক দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট ব্যবহারের দিকেই এগোচ্ছে। চীনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতের সামরিক কৌশল আরও বিপজ্জনক ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।