ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে ঐতিহাসিক খনিজ সম্পদ চুক্তি: নতুন দিগন্তের সূচনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে, যা বিশ্বরাজনীতিতে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারে। এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, বিশেষ করে খনিজ সম্পদ, বন্দর এবং অন্যান্য কৌশলগত শিল্পে।

চুক্তির আওতায় একটি “পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল” প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা যৌথভাবে দুই দেশ পরিচালনা করবে। এই তহবিলের মাধ্যমে ইউক্রেনের পুনর্গঠন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের ক্ষতিপূরণসহ খনিজ খাত এবং অন্যান্য শিল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করা হবে। তবে, এটি সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি নয়, যা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রেখে উন্নয়নে মনোযোগ কেন্দ্রিত করতে সাহায্য করবে।

চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইউক্রেন এই তহবিলে মোট ৫০০ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অবদানের দ্বিগুণ। তবে, এই অর্থ সরাসরি প্রদান করা হবে না, বরং ইউক্রেনের খনিজ, তেল ও গ্যাস খাত থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৫০% তহবিলে জমা হবে।

এটি শুধু দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার পদ্ধতি নয়, বরং ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক বাজারে উভয় দেশের শক্তিশালী অংশীদারিত্বকে তুলে ধরবে।

এই চুক্তি সারা বিশ্বে খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত ব্যবসায়িক ও কৌশলগত প্রভাব ফেলতে পারে, যা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে ঐতিহাসিক খনিজ সম্পদ চুক্তি: নতুন দিগন্তের সূচনা

আপডেট সময় ০৮:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে, যা বিশ্বরাজনীতিতে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারে। এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, বিশেষ করে খনিজ সম্পদ, বন্দর এবং অন্যান্য কৌশলগত শিল্পে।

চুক্তির আওতায় একটি “পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল” প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা যৌথভাবে দুই দেশ পরিচালনা করবে। এই তহবিলের মাধ্যমে ইউক্রেনের পুনর্গঠন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের ক্ষতিপূরণসহ খনিজ খাত এবং অন্যান্য শিল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করা হবে। তবে, এটি সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি নয়, যা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রেখে উন্নয়নে মনোযোগ কেন্দ্রিত করতে সাহায্য করবে।

চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইউক্রেন এই তহবিলে মোট ৫০০ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অবদানের দ্বিগুণ। তবে, এই অর্থ সরাসরি প্রদান করা হবে না, বরং ইউক্রেনের খনিজ, তেল ও গ্যাস খাত থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৫০% তহবিলে জমা হবে।

এটি শুধু দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার পদ্ধতি নয়, বরং ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক বাজারে উভয় দেশের শক্তিশালী অংশীদারিত্বকে তুলে ধরবে।

এই চুক্তি সারা বিশ্বে খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত ব্যবসায়িক ও কৌশলগত প্রভাব ফেলতে পারে, যা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।