ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

গাজা পুনর্গঠনে মিসরের নতুন উদ্যোগ, ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনার পাল্টা কৌশল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা ফাঁকা করে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে দখলের পরিকল্পনার বিপরীতে নতুন কৌশল নিচ্ছে মিসর। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করেই গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল আহরাম-এর বরাতে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

মিসরের পরিকল্পনায় গাজায় একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে, যেখানে সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় গাজার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ চালানো হবে।

পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে মিসরীয় কর্মকর্তারা ইউরোপীয় কূটনীতিকদের পাশাপাশি সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দুই মিসরীয় কর্মকর্তা, একাধিক আরব ও পশ্চিমা কূটনীতিক।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা থেকে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি অন্যায় সিদ্ধান্ত হিসেবে সমালোচিত হয়।

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও সংঘাত থামেনি। জানুয়ারির ১৯ তারিখ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ২৬৬ বার তা লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে ১৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৯০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে মধ্য গাজায়, যেখানে অন্তত ১১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া, রাফায় ৫৪ বার, গাজা সিটিতে ৪৯ বার, খান ইউনিসে ১৯ বার এবং উত্তর গাজায় ১৩ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিসরের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গাজার মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব হতে পারে। তবে এটি রাজনৈতিকভাবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা পুনর্গঠনে মিসরের নতুন উদ্যোগ, ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনার পাল্টা কৌশল

আপডেট সময় ১০:৩৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা ফাঁকা করে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে দখলের পরিকল্পনার বিপরীতে নতুন কৌশল নিচ্ছে মিসর। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করেই গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল আহরাম-এর বরাতে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

মিসরের পরিকল্পনায় গাজায় একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে, যেখানে সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় গাজার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ চালানো হবে।

পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে মিসরীয় কর্মকর্তারা ইউরোপীয় কূটনীতিকদের পাশাপাশি সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দুই মিসরীয় কর্মকর্তা, একাধিক আরব ও পশ্চিমা কূটনীতিক।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা থেকে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি অন্যায় সিদ্ধান্ত হিসেবে সমালোচিত হয়।

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও সংঘাত থামেনি। জানুয়ারির ১৯ তারিখ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ২৬৬ বার তা লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে ১৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৯০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে মধ্য গাজায়, যেখানে অন্তত ১১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া, রাফায় ৫৪ বার, গাজা সিটিতে ৪৯ বার, খান ইউনিসে ১৯ বার এবং উত্তর গাজায় ১৩ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিসরের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গাজার মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব হতে পারে। তবে এটি রাজনৈতিকভাবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।