বৈশ্বিক কূটনীতি
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় নেতাদের অবস্থান: জরুরি বৈঠকের পর কী বললেন?

- আপডেট সময় ১১:২৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 21
হোয়াইট হাউসে প্রশাসন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক কূটনীতির গতিপথ। বাইডেনের শাসনামলে যেখানে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন পেয়ে আসছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের রণকৌশল সেখানে ভিন্নতর। কিয়েভের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ইউরোপ নয়, বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার পথ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইউরোপজুড়ে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ডাকে প্যারিসে জরুরি বৈঠকে বসেন ইউরোপীয় নেতারা। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্কসহ বাল্টিক ও নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধি এবং ন্যাটো মহাসচিব ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতিও এই আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠক শেষে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, “ইউক্রেনের নিরাপত্তা রক্ষায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা উচিত।” তবে ইউক্রেন ও ইউরোপকে বাদ দিয়ে মার্কিন-রুশ শান্তি আলোচনাকে তিনি ‘অসংগত’ বলে মন্তব্য করেন। একই মত পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কেরও।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারও জানান, যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন, না হলে রাশিয়া আবারও আগ্রাসন চালাতে পারে।
তবে, ইউরোপকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরোভ। সৌদি আরবে মার্কিন ও রুশ কূটনীতিকদের বৈঠকের আগে তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে ইউরোপের কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। ইতোমধ্যে রাশিয়ার প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিতে রিয়াদে পৌঁছেছেন।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে মার্কিন-রুশ সংলাপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দিহান ইউরোপীয় নেতারা। তাদের মতে, কিয়েভকে পাশ কাটিয়ে নেওয়া মানে রাশিয়াকে সুবিধা দেওয়া। ফলে, এই আলোচনা প্রকৃতপক্ষে শান্তি আনবে নাকি নতুন অস্থিরতার জন্ম দেবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে জল্পনা।