০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ইরানের তেল রপ্তানি কমিয়ে ১০%–এর নিচে নামানোর পরিকল্পনা: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কৌশল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 113

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি আরও সীমিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল বাণিজ্যে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রপ্তানির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নামাতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ১৪ ফেব্রুয়ারি ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বেসেন্ট জানান, বর্তমানে ইরান প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে, যা কমিয়ে ১ লাখ ব্যারেলে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ইরানের তেল রপ্তানি ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়ন থেকে বিরত রাখতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসেন্ট বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইরানকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, কারণ ইরানের অর্থনীতি বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে না পারলেও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিছুটা সফল হতে পারে। যদিও ইরান এ বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বান আরাগচি বলেন, ‘ট্রাম্পের চাপের নীতির অধীনে কোনো আলোচনা হতে পারে না, কারণ এটি আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছু নয়।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেকের স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থেকে খুব বেশি প্রভাবিত হবে না, এবং বাজারে সরিয়ে নেওয়া তেলের সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের তেল রপ্তানি কমিয়ে ১০%–এর নিচে নামানোর পরিকল্পনা: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কৌশল

আপডেট সময় ১২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি আরও সীমিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল বাণিজ্যে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রপ্তানির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নামাতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ১৪ ফেব্রুয়ারি ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বেসেন্ট জানান, বর্তমানে ইরান প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে, যা কমিয়ে ১ লাখ ব্যারেলে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ইরানের তেল রপ্তানি ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়ন থেকে বিরত রাখতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসেন্ট বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইরানকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, কারণ ইরানের অর্থনীতি বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে না পারলেও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কিছুটা সফল হতে পারে। যদিও ইরান এ বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বান আরাগচি বলেন, ‘ট্রাম্পের চাপের নীতির অধীনে কোনো আলোচনা হতে পারে না, কারণ এটি আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছু নয়।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেকের স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থেকে খুব বেশি প্রভাবিত হবে না, এবং বাজারে সরিয়ে নেওয়া তেলের সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে।