ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকার নতুন পরিকল্পনা: ইউক্রেনের স্বপ্ন ভাঙল ট্রাম্প প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 48

ছবি: সংগৃহীত

 

ইউক্রেনের জন্য এক কঠিন খবর শোনালেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। সম্প্রতি ইউক্রেনের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে পাঁচটি দুঃখজনক পরামর্শ দিয়েছেন, তা যেন ইউক্রেনের স্বপ্নে অন্ধকারের ছায়া ফেলেছে।

প্রথমেই, হেগসেথ জানিয়ে দেন যে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ অর্জন করা আর বাস্তবসম্মত নয়। এর মানে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ হতে আর দেখা যাবে না। এরপর তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ার কাছ থেকে ২০১৪ সালের সীমান্ত পুনরুদ্ধারের আশা “অবাস্তব”—অর্থাৎ, ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন ছেড়ে দিতে হবে।

এছাড়া, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশ সেনা পাঠাতে চাইলেও, আমেরিকা কোন সেনা পাঠানোর পক্ষ নয় বলে তিনি জানান। ইউক্রেনের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমেরিকা ন্যাটো নেতৃত্বে বিরোধিতা করবে।

সবশেষে, ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হোক। ইউক্রেনের ভবিষ্যত নিয়ে এই কঠিন সিদ্ধান্তগুলো তাদের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা হয়ে উঠেছে, যা এখন থেকে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমেরিকার নতুন পরিকল্পনা: ইউক্রেনের স্বপ্ন ভাঙল ট্রাম্প প্রশাসন

আপডেট সময় ০২:২১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ইউক্রেনের জন্য এক কঠিন খবর শোনালেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। সম্প্রতি ইউক্রেনের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে পাঁচটি দুঃখজনক পরামর্শ দিয়েছেন, তা যেন ইউক্রেনের স্বপ্নে অন্ধকারের ছায়া ফেলেছে।

প্রথমেই, হেগসেথ জানিয়ে দেন যে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ অর্জন করা আর বাস্তবসম্মত নয়। এর মানে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ হতে আর দেখা যাবে না। এরপর তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ার কাছ থেকে ২০১৪ সালের সীমান্ত পুনরুদ্ধারের আশা “অবাস্তব”—অর্থাৎ, ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন ছেড়ে দিতে হবে।

এছাড়া, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশ সেনা পাঠাতে চাইলেও, আমেরিকা কোন সেনা পাঠানোর পক্ষ নয় বলে তিনি জানান। ইউক্রেনের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমেরিকা ন্যাটো নেতৃত্বে বিরোধিতা করবে।

সবশেষে, ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হোক। ইউক্রেনের ভবিষ্যত নিয়ে এই কঠিন সিদ্ধান্তগুলো তাদের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা হয়ে উঠেছে, যা এখন থেকে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।