ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদানে আরএসএফের হামলায় ৫৪ জন নিহত, আহত শতাধিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 86

 

সুদানের ওমদুরমান শহরের একটি ব্যস্ত বাজারে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর গোলাবর্ষণে ৫৪ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। শনিবারের এই হামলার পর এখনো হাসপাতালে আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে, যা ইতোমধ্যে হাজারো প্রাণহানি ঘটিয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। হামলা থেকে বেঁচে ফেরা এক ব্যক্তি জানান, গোলাগুলির কেন্দ্রবিন্দু ছিল সবজি বাজার, যা হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়েছে।

ওই এলাকার শেষ অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোর একটি, আল-নাও হাসপাতাল, আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এক স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, সেখানে কাফনের কাপড়, রক্তদাতা ও স্ট্রেচারের সংকট চলছে। হাসপাতালটি আগেও একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছে।

অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করেছে এবং আরএসএফকে শহরের উপকণ্ঠে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওমদুরমানে হামলাটি হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চল থেকে, যা এখনো আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হামলার একদিন আগে আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলো সেনাবাহিনীকে খার্তুম থেকে বিতাড়নের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও সুদানের সেনা প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ নেতা দাগলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুদানে আরএসএফের হামলায় ৫৪ জন নিহত, আহত শতাধিক

আপডেট সময় ০১:১৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

সুদানের ওমদুরমান শহরের একটি ব্যস্ত বাজারে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর গোলাবর্ষণে ৫৪ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। শনিবারের এই হামলার পর এখনো হাসপাতালে আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে, যা ইতোমধ্যে হাজারো প্রাণহানি ঘটিয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। হামলা থেকে বেঁচে ফেরা এক ব্যক্তি জানান, গোলাগুলির কেন্দ্রবিন্দু ছিল সবজি বাজার, যা হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়েছে।

ওই এলাকার শেষ অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোর একটি, আল-নাও হাসপাতাল, আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এক স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, সেখানে কাফনের কাপড়, রক্তদাতা ও স্ট্রেচারের সংকট চলছে। হাসপাতালটি আগেও একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছে।

অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করেছে এবং আরএসএফকে শহরের উপকণ্ঠে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওমদুরমানে হামলাটি হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চল থেকে, যা এখনো আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হামলার একদিন আগে আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলো সেনাবাহিনীকে খার্তুম থেকে বিতাড়নের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও সুদানের সেনা প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ নেতা দাগলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে।