ইসরায়েলের বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্লোটিলার ৩০টি নৌযান

- আপডেট সময় ০২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
- / 97
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য ও ওষুধবাহী জাহাজবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। তবে, গাজার উদ্দেশে এখনও এগিয়ে চলেছে ৩০টি নৌযান।
বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি নৌযান থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেসব নৌযানে থাকা যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে।”
ফ্লোটিলার নৌযানবহরে আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন, এবং তাকেসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সবার্তায় বলা হয়েছে, “গ্রেটা থুনবার্গ এবং তার বন্ধুরা নিরাপদ ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।”
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা চারটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত—ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা। ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এই জাহাজগুলোতে ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আছেন, যারা পার্লামেন্টারিয়ান, আইনজীবী, রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী।
বুধবার গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে। সেদিন সন্ধ্যার পর, গাজার উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের চারপাশ ঘিরে ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে তিনটির নাম জানা গেছে—স্পেক্টার, অ্যালমা এবং সাইরাস।
আটক নৌযানের যাত্রীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে যাওয়ার মতো একটি অহিংস উদ্যোগে ইসরায়েলের বাধা প্রদানের নিন্দা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের অপহরণ করেছে।
এদিকে, বুধবার রাতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযান আটকের পর আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্সে পোস্ট করা বার্তায় বলেন, “আজ রাতে যা ঘটল—তা খুবই উদ্বেগজনক। এটি ছিল একটি শান্তিপূর্ণ মিশন, যার মূল লক্ষ্য গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের শিকারদের পাশে দাঁড়ানো।”
যদিও ইসরায়েলি নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটক করেছে, তবে বাকি ৩০টি নৌযান গাজার উপকূলের উদ্দেশে তাদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলের এসব অবৈধ পদক্ষেপ আমাদের আটকে রাখতে পারবে না। আমরা আমাদের মিশন চালিয়ে যাব এবং গাজায় একটি মানবিক করিডর খুলব।”