১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইউক্রেনে পেনশনের লাইনে হামলা: রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহত ২৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

 

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে পেনশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই প্রবীণ। হামলা হওয়া অঞ্চলটি যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনের কাছে অবস্থিত। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নিহতরা সাধারণ মানুষ এবং তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইয়ারোভা গ্রামে পেনশন নিতে জড়ো হয়েছিলেন। আঞ্চলিক প্রশাসক ভাদিম ফিলাশকিন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্লোভিয়ানস্ক শহরের উত্তরে ফ্রন্টলাইনের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ইয়ারোভা গ্রামটি অবস্থিত। রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ায় এই অঞ্চল বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিবিসি বলছে, নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইউক্রেনীয় বেসামরিকদের ওপর অন্যতম ভয়াবহ হামলা হবে। রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরু হওয়ার ৪২ মাস পরও এ ধরনের হামলা অব্যাহত রয়েছে।

গত আগস্টের শেষ দিকে কিয়েভে রাতের আঁধারে চালানো বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হন। গত সপ্তাহান্তে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আকাশপথে সবচেয়ে বড় হামলা চালায়, যা প্রধান সরকারি ভবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জেলেনস্কির ভাষায়, এটি ছিল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে “নিষ্ঠুর আক্রমণ”।
ইয়ারোভায় হামলার ভয়াবহ ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেছেন, “এই হামলার বর্ণনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই।” রুশ সেনাদের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।

কাছের শহর লিমান-এর স্থানীয় প্রশাসক ওলেক্সান্দ্র ঝুরাভলিওভ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পেনশন বিতরণের সময় এ হামলা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই প্রবীণ নাগরিক। ইউক্রেনের জরুরি সেবা সংস্থা ডিএসএনএস জানিয়েছে, হামলার আগে দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় গোলাবর্ষণে তিনজন নিহত হয়। জেলেনস্কি বলেন, “বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না” এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনে পেনশনের লাইনে হামলা: রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহত ২৪

আপডেট সময় ০১:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে পেনশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই প্রবীণ। হামলা হওয়া অঞ্চলটি যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনের কাছে অবস্থিত। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নিহতরা সাধারণ মানুষ এবং তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইয়ারোভা গ্রামে পেনশন নিতে জড়ো হয়েছিলেন। আঞ্চলিক প্রশাসক ভাদিম ফিলাশকিন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্লোভিয়ানস্ক শহরের উত্তরে ফ্রন্টলাইনের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ইয়ারোভা গ্রামটি অবস্থিত। রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ায় এই অঞ্চল বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিবিসি বলছে, নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইউক্রেনীয় বেসামরিকদের ওপর অন্যতম ভয়াবহ হামলা হবে। রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরু হওয়ার ৪২ মাস পরও এ ধরনের হামলা অব্যাহত রয়েছে।

গত আগস্টের শেষ দিকে কিয়েভে রাতের আঁধারে চালানো বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হন। গত সপ্তাহান্তে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আকাশপথে সবচেয়ে বড় হামলা চালায়, যা প্রধান সরকারি ভবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জেলেনস্কির ভাষায়, এটি ছিল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে “নিষ্ঠুর আক্রমণ”।
ইয়ারোভায় হামলার ভয়াবহ ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেছেন, “এই হামলার বর্ণনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই।” রুশ সেনাদের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।

কাছের শহর লিমান-এর স্থানীয় প্রশাসক ওলেক্সান্দ্র ঝুরাভলিওভ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পেনশন বিতরণের সময় এ হামলা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই প্রবীণ নাগরিক। ইউক্রেনের জরুরি সেবা সংস্থা ডিএসএনএস জানিয়েছে, হামলার আগে দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় গোলাবর্ষণে তিনজন নিহত হয়। জেলেনস্কি বলেন, “বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না” এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।