ইউক্রেনে যৌথভাবে সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত ২৬ দেশ

- আপডেট সময় ১১:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 10
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পরদিনই ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে রাজি হয়েছে ২৬টি পশ্চিমা মিত্রদেশ। স্থল, নৌ ও আকাশপথে সেনা পাঠানোর এই প্রতিশ্রুতি আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৩৫ দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত বৈঠক শেষে এ তথ্য দেন ম্যাক্রোঁ। বৈঠকটি পরিচিতি পেয়েছে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নামে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও দ্রুত এই উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সহায়তা মূলত আকাশ প্রতিরক্ষার মাধ্যমে আসতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে, যেখানে কিয়েভ সর্বোচ্চ আকাশ সুরক্ষা চেয়েছে।
তবে আলাস্কায় ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর যুদ্ধ থামাতে কোনও সমঝোতার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে গেছে। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক হয়ে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে হবে, যাতে মস্কোর যুদ্ধের অর্থায়ন বন্ধ হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব।
ইইউ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করবে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শুধু গত বছরেই ইউরোপ রাশিয়ার কাছ থেকে ১.১ বিলিয়ন ইউরোর জ্বালানি কিনেছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানো হবে। তবে প্রকাশ্যে সেনা পাঠানোর কথা এখনো খুব কম দেশই জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বলেছে, তারা ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠাবে না। ইউরোপীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন, এখনই সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেওয়া হলে তা পুতিনের পশ্চিমবিরোধী প্রচারণাকে উসকে দেবে।
মস্কো অবশ্য স্পষ্ট করেছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েন অগ্রহণযোগ্য। বরং রাশিয়াকে অস্ত্রবিরতির গ্যারান্টার হিসেবে রাখতে হবে, যা কিয়েভ ও তার মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ম্যাক্রোঁ অভিযোগ করেছেন, অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও রাশিয়া নতুন করে সেনা পাঠাচ্ছে। উত্তর ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার রুশ হামলায় মাইন অপসারণে নিয়োজিত দুজন নিহত হয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ বলেছেন, জেলেনস্কিকে নিয়ে হতে যাওয়া শীর্ষ বৈঠকের প্রথম অগ্রাধিকার হবে অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করা, এরপর ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া।