১২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি ইয়েমেনে জাতিসংঘ কার্যালয়ে হুথি বাহিনীর অভিযান, আটক ২০ কর্মী হংকং বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা: সাগরে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২ কর্মী ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা: পরিবেশ উপদেষ্টা

পাকিস্তানের পাঞ্চাবে ব্যাপক বন্যা, নিহত ১৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / 69

ছবি: সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের পাঞ্চাবে ব্যাপক বন্যায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। সুতলেজ, রাভি এবং চেনাব তিন নদীর পানি বিপজ্জনকমাত্রায় বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চল।

বন্যায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে ৫ জন প্রদেশের শিয়ালকোট, ৪ জন গুজরাট, ৩ জন নারোয়াল, ২ জন হাফিজাবাদ এবং এক জন গুজরানওয়ালা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। গুজরানওয়ালার জেলা কমিশনার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গত জুনের শেষ দিক থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। এছাড়া সম্প্রতি ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় সুতলেজ, রাভি ও চেনাব নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধ পেয়েছে, যার জেরে ইতোমধ্যে ডুবেছে পাঞ্জাবের মধ্যস্থল। পাকিস্তানের আবহাওয়য়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চলেও এই বন্যা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তান দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)-এর মুখপাত্র ফারুক আহমেদ পাকিস্তানের জাতীয় দৈনি ডনকে জানিয়েছেন, প্রদেশের ১৭টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই জেলাগুলো হলো সিয়ালকোট, সারগোধা, চিনিওট, গুজরানওয়ালা, নানকানা, হাফিজাবাদ, মান্দি বাহাউদ্দিন, গুজরাট, লাহোর, নারোয়াল, কাসুর, ওকারা, পাকপাত্তান, ভাওয়ালনগর, ভেহারি, ভাওয়ালপুর এবং লোধরান।

এই ১৭ জেলার মধ্যে আটটি জেলার বন্যাপরিস্থিত অনেক বেশি উদ্বেগজনক। সেই জেলাগুলো হলো শিয়ালকোট , নারোয়াল, হাফিজাবাদ, সারগোধা, লাহোর, কাসুর, ওকারা এবং ফয়সালাবাদ।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই ১৭ জেলার নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে দেড় লাখেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন পিডিএমএর’র উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধার করা হয়েছে লাখ লাখ গবাদি পশুও।

চলতি বছরের বর্ষা ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে এনেছে পাকিস্তানের জন্য। পিডিএমএ-এর হিসেব অনুযায়ী, প্রবল বর্ষণে বাড়ির ছাদ-দেওয়াল ধস, বজ্রপাত, হড়পা বান এবং বর্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্যোগে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮০৭ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের পাঞ্চাবে ব্যাপক বন্যা, নিহত ১৫

আপডেট সময় ০১:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

 

পাকিস্তানের পাঞ্চাবে ব্যাপক বন্যায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। সুতলেজ, রাভি এবং চেনাব তিন নদীর পানি বিপজ্জনকমাত্রায় বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চল।

বন্যায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে ৫ জন প্রদেশের শিয়ালকোট, ৪ জন গুজরাট, ৩ জন নারোয়াল, ২ জন হাফিজাবাদ এবং এক জন গুজরানওয়ালা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। গুজরানওয়ালার জেলা কমিশনার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গত জুনের শেষ দিক থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। এছাড়া সম্প্রতি ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় সুতলেজ, রাভি ও চেনাব নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধ পেয়েছে, যার জেরে ইতোমধ্যে ডুবেছে পাঞ্জাবের মধ্যস্থল। পাকিস্তানের আবহাওয়য়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চলেও এই বন্যা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তান দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)-এর মুখপাত্র ফারুক আহমেদ পাকিস্তানের জাতীয় দৈনি ডনকে জানিয়েছেন, প্রদেশের ১৭টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই জেলাগুলো হলো সিয়ালকোট, সারগোধা, চিনিওট, গুজরানওয়ালা, নানকানা, হাফিজাবাদ, মান্দি বাহাউদ্দিন, গুজরাট, লাহোর, নারোয়াল, কাসুর, ওকারা, পাকপাত্তান, ভাওয়ালনগর, ভেহারি, ভাওয়ালপুর এবং লোধরান।

এই ১৭ জেলার মধ্যে আটটি জেলার বন্যাপরিস্থিত অনেক বেশি উদ্বেগজনক। সেই জেলাগুলো হলো শিয়ালকোট , নারোয়াল, হাফিজাবাদ, সারগোধা, লাহোর, কাসুর, ওকারা এবং ফয়সালাবাদ।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই ১৭ জেলার নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে দেড় লাখেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন পিডিএমএর’র উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধার করা হয়েছে লাখ লাখ গবাদি পশুও।

চলতি বছরের বর্ষা ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে এনেছে পাকিস্তানের জন্য। পিডিএমএ-এর হিসেব অনুযায়ী, প্রবল বর্ষণে বাড়ির ছাদ-দেওয়াল ধস, বজ্রপাত, হড়পা বান এবং বর্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্যোগে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮০৭ জন।