ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশের পর ভারতে বিপাকে পড়লেন নৃত্যশিল্পী নোয়েল নাটোরের বনপাড়ায় সেনা অভিযানে ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার। যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন বাতিল কানাডার ফিলিস্তিন সিদ্ধান্তের জবাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক প্রতিশোধ ট্রাম্প বললেন ‘ভারত চাইলে অর্থনীতি ডুবাক’- তেল আমদানিতে ধাক্কা বাংলাদেশের শুল্ক আলোচনায় কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন ড্যানিলোভিচ সেনবাগ থানা পুলিশের অভিযানে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ রংপুরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ৫ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল

ট্রাম্প বললেন ‘ভারত চাইলে অর্থনীতি ডুবাক’- তেল আমদানিতে ধাক্কা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক হুঁশিয়ারির জেরে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুশ তেল আমদানিতে ভারতের বড় কোম্পানিগুলো চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ভারত বর্তমানে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা। তবে সম্প্রতি রুশ তেলের মূল্যছাড় কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার কারণে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েছে। ফলস্বরূপ, গত সপ্তাহে এসব কোম্পানি রাশিয়া থেকে কোনও তেল কেনেনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (এইচপিসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস (এমআরপিএল)—এ চারটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গত সপ্তাহে রুশ তেলের কোনও নতুন ক্রয়াদেশ দেয়নি। তবে এ বিষয়ে আইওসি, এইচপিসিএল, বিপিসিএল, এমআরপিএল ও ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয় রয়টার্সের অনুরোধেও কোনও মন্তব্য করেনি।

সাধারণত সরবরাহ চুক্তির ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত এসব কোম্পানি। কিন্তু এখন তারা বিকল্প উৎসের সন্ধানে রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আবু ধাবির ‘মুরবান ক্রুড’ এবং পশ্চিম আফ্রিকার অপরিশোধিত তেল কিনে ঘাটতি পূরণের চিন্তাভাবনা করছে তারা।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত পরিশোধন সক্ষমতা দৈনিক প্রায় ৫২ লাখ ব্যারেল, যার মধ্যে ৬০ শতাংশই আসে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর পরিশোধন কার্যক্রম থেকে। তবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি নামের দুটি বেসরকারি তেল কোম্পানি রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে রয়ে গেছে।

গত ১৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে না আসে, তাহলে রুশ তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর, বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রুশ তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত জরিমানার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প তার পোস্টে আরও বলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। চাইলে তারা একসঙ্গে নিজেদের ‘মরা অর্থনীতি’ ডুবিয়ে দিক। আমরা ভারতের সঙ্গে খুবই সীমিত পরিসরে ব্যবসা করি, আর ভারত বিশ্বে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি। একইভাবে, রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কোনও বড় বাণিজ্য নেই এবং আমি চাই এই পরিস্থিতি এমনই থাকুক।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প বললেন ‘ভারত চাইলে অর্থনীতি ডুবাক’- তেল আমদানিতে ধাক্কা

আপডেট সময় ১০:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক হুঁশিয়ারির জেরে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুশ তেল আমদানিতে ভারতের বড় কোম্পানিগুলো চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ভারত বর্তমানে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা। তবে সম্প্রতি রুশ তেলের মূল্যছাড় কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার কারণে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েছে। ফলস্বরূপ, গত সপ্তাহে এসব কোম্পানি রাশিয়া থেকে কোনও তেল কেনেনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (এইচপিসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস (এমআরপিএল)—এ চারটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গত সপ্তাহে রুশ তেলের কোনও নতুন ক্রয়াদেশ দেয়নি। তবে এ বিষয়ে আইওসি, এইচপিসিএল, বিপিসিএল, এমআরপিএল ও ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয় রয়টার্সের অনুরোধেও কোনও মন্তব্য করেনি।

সাধারণত সরবরাহ চুক্তির ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত এসব কোম্পানি। কিন্তু এখন তারা বিকল্প উৎসের সন্ধানে রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আবু ধাবির ‘মুরবান ক্রুড’ এবং পশ্চিম আফ্রিকার অপরিশোধিত তেল কিনে ঘাটতি পূরণের চিন্তাভাবনা করছে তারা।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত পরিশোধন সক্ষমতা দৈনিক প্রায় ৫২ লাখ ব্যারেল, যার মধ্যে ৬০ শতাংশই আসে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর পরিশোধন কার্যক্রম থেকে। তবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি নামের দুটি বেসরকারি তেল কোম্পানি রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে রয়ে গেছে।

গত ১৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে না আসে, তাহলে রুশ তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর, বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রুশ তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত জরিমানার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প তার পোস্টে আরও বলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। চাইলে তারা একসঙ্গে নিজেদের ‘মরা অর্থনীতি’ ডুবিয়ে দিক। আমরা ভারতের সঙ্গে খুবই সীমিত পরিসরে ব্যবসা করি, আর ভারত বিশ্বে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি। একইভাবে, রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কোনও বড় বাণিজ্য নেই এবং আমি চাই এই পরিস্থিতি এমনই থাকুক।”