০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজার মানবিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। সম্প্রতি, গাজার একটি হাসপাতালে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু ঘটেছে, যা এই অঞ্চলের কঠিন পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরে। শিশুটির মৃত্যু শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো গাজার জনগণের জন্য একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটি মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার ছিল। তার পরিবার খাদ্য সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল এবং তা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

একই সময়ে, গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এই হামলা গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও অবর্ণনীয় করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

গাজায় খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সেবার অভাব ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজার ৮০ শতাংশ জনগণ বর্তমানে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্যাভাবে শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে, এবং শিশুরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজার মানবিক সংকটের জন্য ইসরায়েলি হামলাকে দায়ী করেছে এবং অবিলম্বে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। ইউএন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সহায়তার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

গাজার পরিস্থিতি যদি দ্রুত পরিবর্তিত না হয়, তাহলে এই সংকট আরও গভীরতর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা প্রকট হয়ে উঠবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে একত্রিত হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই পরিস্থিতি গাজার মানুষের জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা, যেখানে দিন দিন মৃত্যু ও বিপর্যয় বাড়ছে। মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তার অভাব তাদের দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সকলেই একত্রিত হয়ে এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে, যাতে গাজার জনগণের জীবনমান উন্নত করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬

আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

 

 

গাজার মানবিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। সম্প্রতি, গাজার একটি হাসপাতালে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু ঘটেছে, যা এই অঞ্চলের কঠিন পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরে। শিশুটির মৃত্যু শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো গাজার জনগণের জন্য একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটি মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার ছিল। তার পরিবার খাদ্য সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল এবং তা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

একই সময়ে, গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এই হামলা গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও অবর্ণনীয় করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

গাজায় খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সেবার অভাব ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজার ৮০ শতাংশ জনগণ বর্তমানে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্যাভাবে শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে, এবং শিশুরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজার মানবিক সংকটের জন্য ইসরায়েলি হামলাকে দায়ী করেছে এবং অবিলম্বে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। ইউএন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সহায়তার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

গাজার পরিস্থিতি যদি দ্রুত পরিবর্তিত না হয়, তাহলে এই সংকট আরও গভীরতর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা প্রকট হয়ে উঠবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে একত্রিত হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই পরিস্থিতি গাজার মানুষের জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা, যেখানে দিন দিন মৃত্যু ও বিপর্যয় বাড়ছে। মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তার অভাব তাদের দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সকলেই একত্রিত হয়ে এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে, যাতে গাজার জনগণের জীবনমান উন্নত করা যায়।