ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

- আপডেট সময় ০৮:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
- / 0
ইরানে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় গোরগান শহরের একটি কারাগারে এই সাজা কার্যকর করা হয়। খবর দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট মিজান অনলাইন।
প্রতিবেদনে গোরগানের স্থানীয় বিচার বিভাগের প্রধান হেইদার আসিয়াবির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয় এবং আজ ভোরে তা কার্যকর করা হয়েছে।
ইরানে ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য। এসব অপরাধকে দেশটির আইনে সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে চীনের পরেই ইরানের অবস্থান।
ইরানে সাধারণত ভোরবেলায় কারাগারের ভেতরে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে। চলতি জুলাই মাসের শুরুর দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক ব্যক্তিকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ওই ব্যক্তি এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। এই নৃশংস ঘটনার পর দেশজুড়ে তীব্র জনমত গড়ে ওঠে এবং বিচারের দাবিতে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দেয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইরানে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুসারে, বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব এবং অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সীমিত সুযোগ নিয়ে তাদের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে, সমাজে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও অপরাধ দমনেই তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
দেশটির আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ, হত্যা, সশস্ত্র ডাকাতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, মাদক চোরাচালানসহ কয়েকটি গুরুতর অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে থাকে। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে এই শাস্তিকে বিতর্কিত হিসেবে দেখা হয়, ইরান সরকার তাদের বিচার ব্যবস্থা ও আইনি নীতিকে দেশের সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে।
এই তিন ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় আবারও ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।