ইসরাইলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা: রিপোর্ট

- আপডেট সময় ০৪:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 3
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। ১৬ জুন তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি ভবনে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ফার্স নিউজ এজেন্সি, যা ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাথে সম্পর্কিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ভবনে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ছাড়াও সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, বিচার বিভাগের প্রধান মোহসেনি এজেইসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
ইসরাইলের ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ভবনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথ লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়, যাতে ভেতরের কর্মকর্তাদের পালানোর সুযোগ না থাকে এবং ভবনের বায়ুপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়। বিস্ফোরণে ভবনের নিচতলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যায়।
তবে আগে থেকেই একটি জরুরি হ্যাচ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। হামলার পর প্রেসিডেন্টসহ অন্য কর্মকর্তারা ওই হ্যাচ ব্যবহার করে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। বেরিয়ে আসার সময় পেজেশকিয়ানের পায়ে সামান্য আঘাত লাগে। এছাড়াও আরও কয়েকজন কর্মকর্তাও হালকা আহত হন।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এর আগে এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেন। টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তারা চেষ্টা করেছিল, তারা পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
এনডিটিভি সূত্রে জানা যায়, এই হামলার ধরন ছিল বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যাচেষ্টার মতো, যেখানে ভবন লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
এদিকে, ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ১৬ জুন শাহরাক-ই-ঘার্বের নিকটবর্তী এলাকায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। এর আগে ১৩ জুন, কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেয়।
১২ দিনব্যাপী এই সংঘাতে ইসরাইলি বাহিনী ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।