ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে নিঃশর্ত সমর্থনের বার্তা কিম জং উনের

- আপডেট সময় ০১:২৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 0
উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপকে ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ করার ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এই সময় দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত সংলাপও অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ তিন দিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছেন। এই সফরের লক্ষ্য দুই দেশের সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়গুলো আরও জোরদার করা। উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এবার তারা মস্কোকে আরও সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
পূর্ব উপকূলীয় শহর ওনসানে লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম জং উন। সেখানে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই-ও উপস্থিত ছিলেন। উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপ। আলোচনায় ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই চুক্তিতে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিসিএনএ (KCNA) জানিয়েছে, বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে যে আমূল পরিবর্তন এসেছে, তার প্রেক্ষিতে মিত্রদের পদক্ষেপ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন কিম জং উন। একই সঙ্গে তিনি পুনরায় ঘোষণা দেন, ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ মোকাবেলায় রুশ নেতৃত্বের গৃহীত সব উদ্যোগকে উত্তর কোরিয়া নিঃশর্তভাবে সমর্থন ও উৎসাহ দেবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুই নেতা করমর্দন ও আলিঙ্গনের মাধ্যমে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান।
উত্তর কোরিয়ার নেতা আরও বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও জনগণ দেশের মর্যাদা এবং মৌলিক স্বার্থ রক্ষায় যে পবিত্র লড়াই করছে, তাতে তারা অবশ্যই সফল হবে।”
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস (TASS) জানিয়েছে, লাভরভ এই বৈঠকে কিম জং উনকে জানান যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খুব শিগগিরই সরাসরি যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মস্কো-পিয়ংইয়ং জোটকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা