০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 108

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় চলমান মানবিক সংকটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকর যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ না এলে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে বক্তৃতাকালে ল্যামি গাজায় ত্রাণ বিতরণের বর্তমান ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) কর্তৃক পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে ‘অকার্যকর’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ল্যামি বলেন, “এই ফাউন্ডেশনকে আমরা সমর্থন করি না। এটি যথাযথভাবে কাজ করছে না। অনেকে অনাহারে, অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক নিন্দার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সামনের সারিতে রয়েছে।”

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে জিএইচএফ-এর ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে অন্তত ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

একজন সংসদ সদস্য ল্যামিকে প্রশ্ন করেন, গাজায় সহিংসতা যদি চলতেই থাকে, তবে যুক্তরাজ্য কি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? উত্তরে ল্যামি বলেন, “হ্যাঁ, আমরা নেব।”

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের দুই উগ্রবাদী মন্ত্রী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ওপর দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং তাদের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়েও এই দুই নেতার বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন, এবং চরম খাদ্যসংকটের কারণে দুর্ভিক্ষ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে এবং কিছু অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রেখেছে।

তবে ল্যামি বলেন, “জি-৭ বা ইউরোপজুড়ে আমাদের চেয়ে বেশি পদক্ষেপ কেউ নেয়নি।”

তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন।” একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্যের চাপের পরও ইসরায়েলের আচরণে এখনও ‘যথেষ্ট পরিবর্তন’ আসেনি।

এদিকে, যুক্তরাজ্য নিজ দেশে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নিষিদ্ধ করেছে এবং সংগঠনটির কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ল্যামি জানান, যুক্তরাজ্য এমন এক সময়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়, যা শান্তির পথে পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের

আপডেট সময় ০১:১৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

গাজায় চলমান মানবিক সংকটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকর যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ না এলে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে বক্তৃতাকালে ল্যামি গাজায় ত্রাণ বিতরণের বর্তমান ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) কর্তৃক পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে ‘অকার্যকর’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ল্যামি বলেন, “এই ফাউন্ডেশনকে আমরা সমর্থন করি না। এটি যথাযথভাবে কাজ করছে না। অনেকে অনাহারে, অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক নিন্দার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সামনের সারিতে রয়েছে।”

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে জিএইচএফ-এর ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে অন্তত ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

একজন সংসদ সদস্য ল্যামিকে প্রশ্ন করেন, গাজায় সহিংসতা যদি চলতেই থাকে, তবে যুক্তরাজ্য কি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? উত্তরে ল্যামি বলেন, “হ্যাঁ, আমরা নেব।”

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের দুই উগ্রবাদী মন্ত্রী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ওপর দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং তাদের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়েও এই দুই নেতার বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন, এবং চরম খাদ্যসংকটের কারণে দুর্ভিক্ষ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে এবং কিছু অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রেখেছে।

তবে ল্যামি বলেন, “জি-৭ বা ইউরোপজুড়ে আমাদের চেয়ে বেশি পদক্ষেপ কেউ নেয়নি।”

তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন।” একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্যের চাপের পরও ইসরায়েলের আচরণে এখনও ‘যথেষ্ট পরিবর্তন’ আসেনি।

এদিকে, যুক্তরাজ্য নিজ দেশে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নিষিদ্ধ করেছে এবং সংগঠনটির কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ল্যামি জানান, যুক্তরাজ্য এমন এক সময়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়, যা শান্তির পথে পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে।