ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য হুমকি হতে পারে: নেতানিয়াহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চান। তবে কোনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ভবিষ্যতে ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নেতানিয়াহুর মতে, ইসরাইলের নিরাপত্তার স্বার্থেই সার্বভৌম ক্ষমতা তার দেশের হাতেই থাকা উচিত।

সোমবার (৭ জুলাই) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, “২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলে হামলা চালানো হয়েছিল। উপত্যকাটি হামাস নিয়ন্ত্রিত। সেই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যদি ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়, তাহলে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।”

বৈঠকে ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান কি এখনো সম্ভব? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি না।”

পাল্টা বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি মনে করি, ফিলিস্তিনিদের শাসনের জন্য তাদের নিজস্ব কিছু ক্ষমতা থাকা উচিত। তবে এমন কোনো ক্ষমতা নয় যা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষমতা আমাদের হাতেই থাকা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “৭ অক্টোবরের হামলার পর অনেকে বলছে, গাজা একটি রাষ্ট্রের মতোই। কিন্তু তারা সেই ভূখণ্ডকে উন্নয়ন না করে সন্ত্রাসী সুড়ঙ্গ আর বাংকারে পরিণত করেছে। তারা সেখান থেকে আমাদের জনগণের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে, নারী ধর্ষণ করেছে, পুরুষদের হত্যা করেছে, শিশুসহ পরিবারদের কিবুতজে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এটি ছিল নাৎসিদের সময়ের হলোকাস্টের মতোই ভয়াবহ।”

নেতানিয়াহু বলেন, “এখন আর কেউ সহজে বলবে না ‘চলো, ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দেই’। কারণ এমন রাষ্ট্র ইসরাইলকে ধ্বংসের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায় না, তাদের সঙ্গে আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। তবে সেই শান্তি হবে এমন, যেখানে ইসরাইলের সার্বভৌম নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে।”

তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠা পাবে না। অনেকেই বলবে এটা অর্ধেক রাষ্ট্র, এটা পুরো রাষ্ট্র নয়। কিন্তু আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শপথ করেছি ‘আর কখনো নয়’। আর কখনোই তা ঘটতে দেয়া হবে না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য হুমকি হতে পারে: নেতানিয়াহু

আপডেট সময় ১২:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চান। তবে কোনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ভবিষ্যতে ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নেতানিয়াহুর মতে, ইসরাইলের নিরাপত্তার স্বার্থেই সার্বভৌম ক্ষমতা তার দেশের হাতেই থাকা উচিত।

সোমবার (৭ জুলাই) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, “২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলে হামলা চালানো হয়েছিল। উপত্যকাটি হামাস নিয়ন্ত্রিত। সেই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যদি ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়, তাহলে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।”

বৈঠকে ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান কি এখনো সম্ভব? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি না।”

পাল্টা বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি মনে করি, ফিলিস্তিনিদের শাসনের জন্য তাদের নিজস্ব কিছু ক্ষমতা থাকা উচিত। তবে এমন কোনো ক্ষমতা নয় যা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষমতা আমাদের হাতেই থাকা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “৭ অক্টোবরের হামলার পর অনেকে বলছে, গাজা একটি রাষ্ট্রের মতোই। কিন্তু তারা সেই ভূখণ্ডকে উন্নয়ন না করে সন্ত্রাসী সুড়ঙ্গ আর বাংকারে পরিণত করেছে। তারা সেখান থেকে আমাদের জনগণের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে, নারী ধর্ষণ করেছে, পুরুষদের হত্যা করেছে, শিশুসহ পরিবারদের কিবুতজে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এটি ছিল নাৎসিদের সময়ের হলোকাস্টের মতোই ভয়াবহ।”

নেতানিয়াহু বলেন, “এখন আর কেউ সহজে বলবে না ‘চলো, ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দেই’। কারণ এমন রাষ্ট্র ইসরাইলকে ধ্বংসের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায় না, তাদের সঙ্গে আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। তবে সেই শান্তি হবে এমন, যেখানে ইসরাইলের সার্বভৌম নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে।”

তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠা পাবে না। অনেকেই বলবে এটা অর্ধেক রাষ্ট্র, এটা পুরো রাষ্ট্র নয়। কিন্তু আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শপথ করেছি ‘আর কখনো নয়’। আর কখনোই তা ঘটতে দেয়া হবে না।”