ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিহারে ডাইনি বিদ্যার চর্চায় একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি নির্বাচনের আগেই ফ্যাসিস্টদের বিচার করতে করতে বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা ব্রিকস সম্মেলনে শান্তি ও নিরাপত্তায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে মোদির কড়া বার্তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য হুমকি হতে পারে: নেতানিয়াহু পাকিস্তানে টানা বর্ষণে বন্যায় প্রাণ গেল ১৯ জনের ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় পতন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনা ও কূটনৈতিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের প্রেসিডেন্ট হিমছড়ি সৈকতে স্নানে নেমে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ আরও ২ জন কেনিয়ায় আন্দোলনের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১১, আহত বহু

উত্তর গাজায় বোমা বিস্ফোরণে ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত ১৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ ইসরাইলি সেনা। এ ঘটনায় আরও ১৪ সেনা আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।

টাইমস অব ইসরাইলের বরাতে জানা যায়, সোমবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১০টার কিছু পর বেইত হানুন এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি স্থল অভিযানের সময় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক দ্রব্যের আঘাতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় সেনারা কোনো যানবাহনে ছিলেন না, তারা পায়ে হেঁটে অভিযান পরিচালনা করছিলেন।

নিহতদের মধ্যে দুই সেনার পরিচয় প্রকাশ করেছে আইডিএফ। তারা হলেন সার্জেন্ট মেইর শিমন আমার (২০) এবং সার্জেন্ট মোশে নিশিম ফ্রেচ (২০)। নিহত বাকি তিন সেনার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

আইডিএফ আরও জানায়, বিস্ফোরণের পর হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর সময় সেনাদের ওপর গুলিবর্ষণ হয়। এতে আহতদের সংখ্যা আরও বাড়ে। আহত ১৪ জনের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিস্ফোরণের আগে ওই এলাকায় ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলাও চালিয়েছিল বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।

টাইমস অব ইসরাইলের তথ্য মতে, নেটজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের সেনারা বেইত হানুনে ৬৪৬তম রিজার্ভ প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের সাথে গাজা ডিভিশনের উত্তর ব্রিগেডের অধীনে একটি সম্মিলিত অভিযানে অংশ নিচ্ছিলেন।

গাজায় ইসরাইলি সেনাদের এই হতাহতের ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। সেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

গাজায় চলমান সহিংসতা এবং হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ পরিস্থিতিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

উত্তর গাজায় বোমা বিস্ফোরণে ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত ১৪

আপডেট সময় ১১:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ ইসরাইলি সেনা। এ ঘটনায় আরও ১৪ সেনা আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।

টাইমস অব ইসরাইলের বরাতে জানা যায়, সোমবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১০টার কিছু পর বেইত হানুন এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি স্থল অভিযানের সময় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক দ্রব্যের আঘাতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় সেনারা কোনো যানবাহনে ছিলেন না, তারা পায়ে হেঁটে অভিযান পরিচালনা করছিলেন।

নিহতদের মধ্যে দুই সেনার পরিচয় প্রকাশ করেছে আইডিএফ। তারা হলেন সার্জেন্ট মেইর শিমন আমার (২০) এবং সার্জেন্ট মোশে নিশিম ফ্রেচ (২০)। নিহত বাকি তিন সেনার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

আইডিএফ আরও জানায়, বিস্ফোরণের পর হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর সময় সেনাদের ওপর গুলিবর্ষণ হয়। এতে আহতদের সংখ্যা আরও বাড়ে। আহত ১৪ জনের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিস্ফোরণের আগে ওই এলাকায় ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলাও চালিয়েছিল বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।

টাইমস অব ইসরাইলের তথ্য মতে, নেটজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের সেনারা বেইত হানুনে ৬৪৬তম রিজার্ভ প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের সাথে গাজা ডিভিশনের উত্তর ব্রিগেডের অধীনে একটি সম্মিলিত অভিযানে অংশ নিচ্ছিলেন।

গাজায় ইসরাইলি সেনাদের এই হতাহতের ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। সেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

গাজায় চলমান সহিংসতা এবং হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ পরিস্থিতিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।