১২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

আজ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো শুরু হবে শুল্ক চিঠি : ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আজ সোমবার থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্দেশ্যে প্রথম দফার শুল্ক চিঠি পাঠাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা না হলে আবারও পূর্বের উচ্চ শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

রবিবার ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫টি চিঠি পাঠানো হবে। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে জানানো হবে, তারা যদি সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর পুনরায় আগের মতো উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, এই শুল্ক ব্যবস্থা আগামী ১ আগস্টের আগে কার্যকর হবে না। ফলে সমঝোতার জন্য দেশগুলোকে কিছুটা সময় দেওয়া হচ্ছে। তার ভাষায়, এই শুল্ক নীতি তাত্ক্ষণিক কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সোমবার (জুলাই ৭) দুপুর ১২টা (ইস্টার্ন টাইম) থেকে শুল্ক চিঠি বা চুক্তিপত্র পাঠানো শুরু হবে।”

একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেসব দেশ উদীয়মান ব্রিকস জোটের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এই দেশগুলো সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তার শুল্ক নীতির সমালোচনা করে ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ মনোভাব দেখিয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েকটি দেশের বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই আমদানি পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এবারও একই নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শুল্ক চিঠির মাধ্যমে মূলত সমঝোতার জন্য চাপ বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো শুরু হবে শুল্ক চিঠি : ট্রাম্প

আপডেট সময় ০২:৩৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আজ সোমবার থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্দেশ্যে প্রথম দফার শুল্ক চিঠি পাঠাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা না হলে আবারও পূর্বের উচ্চ শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

রবিবার ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫টি চিঠি পাঠানো হবে। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে জানানো হবে, তারা যদি সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর পুনরায় আগের মতো উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, এই শুল্ক ব্যবস্থা আগামী ১ আগস্টের আগে কার্যকর হবে না। ফলে সমঝোতার জন্য দেশগুলোকে কিছুটা সময় দেওয়া হচ্ছে। তার ভাষায়, এই শুল্ক নীতি তাত্ক্ষণিক কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সোমবার (জুলাই ৭) দুপুর ১২টা (ইস্টার্ন টাইম) থেকে শুল্ক চিঠি বা চুক্তিপত্র পাঠানো শুরু হবে।”

একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেসব দেশ উদীয়মান ব্রিকস জোটের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এই দেশগুলো সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তার শুল্ক নীতির সমালোচনা করে ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ মনোভাব দেখিয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েকটি দেশের বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই আমদানি পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এবারও একই নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শুল্ক চিঠির মাধ্যমে মূলত সমঝোতার জন্য চাপ বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।