০৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবার বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে দেশের অর্থনীতির দিকেই। জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, বর্তমান শুল্কহার বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে কর্মী ছাঁটাই বাড়বে এবং বিনিয়োগেও দেখা দিতে পারে বড় ধরনের স্থবিরতা।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে বসার পর ট্রাম্প একের পর এক শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এতে শুধু বিদেশি বাণিজ্যেই অস্থিরতা দেখা দেয়নি, বরং সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশীয় অর্থনীতিতে। মার্কিন চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, বিনিয়োগে নেমেছে ভাটা, আর কমেছে ভোক্তা ব্যয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে খুচরা বিক্রি প্রায় ০.৯ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে বাড়তে শুরু করেছে বেকারত্বের হারও, যা এখন ৪ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে গণহারে ছাঁটাইয়ের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান শুল্কহার অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীপ্রতি ব্যয় অনেক গুণ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, ট্রাম্প যদি প্রত্যাশার তুলনায় আরও বেশি শুল্কারোপ করেন, তাহলে মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বার্ষিক ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডলারের আয় রয়েছে—এমন মাঝারি আকারের মার্কিন কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানির একটি বড় অংশ চীন, ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো দেশের উপর নির্ভরশীল। তাই শুল্ক নীতির কারণে বিশেষ করে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা খাত সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক বাড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করার কৌশল বাস্তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো শুল্কের চাপেই বিনিয়োগ কমছে, চাকরি হারাচ্ছেন হাজারো কর্মী, বাজারে তৈরি হচ্ছে নতুন অনিশ্চয়তা। শুল্কের এ অস্থির নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মহল এখন বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত

আপডেট সময় ০৪:১৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবার বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে দেশের অর্থনীতির দিকেই। জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, বর্তমান শুল্কহার বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে কর্মী ছাঁটাই বাড়বে এবং বিনিয়োগেও দেখা দিতে পারে বড় ধরনের স্থবিরতা।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে বসার পর ট্রাম্প একের পর এক শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এতে শুধু বিদেশি বাণিজ্যেই অস্থিরতা দেখা দেয়নি, বরং সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশীয় অর্থনীতিতে। মার্কিন চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, বিনিয়োগে নেমেছে ভাটা, আর কমেছে ভোক্তা ব্যয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে খুচরা বিক্রি প্রায় ০.৯ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে বাড়তে শুরু করেছে বেকারত্বের হারও, যা এখন ৪ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে গণহারে ছাঁটাইয়ের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান শুল্কহার অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীপ্রতি ব্যয় অনেক গুণ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, ট্রাম্প যদি প্রত্যাশার তুলনায় আরও বেশি শুল্কারোপ করেন, তাহলে মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

জেপি মরগান চেজ ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বার্ষিক ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডলারের আয় রয়েছে—এমন মাঝারি আকারের মার্কিন কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানির একটি বড় অংশ চীন, ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো দেশের উপর নির্ভরশীল। তাই শুল্ক নীতির কারণে বিশেষ করে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা খাত সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক বাড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করার কৌশল বাস্তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো শুল্কের চাপেই বিনিয়োগ কমছে, চাকরি হারাচ্ছেন হাজারো কর্মী, বাজারে তৈরি হচ্ছে নতুন অনিশ্চয়তা। শুল্কের এ অস্থির নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মহল এখন বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছে।