ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত অর্ধশতাধিক ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে ২৯৪ জন ভর্তি, মৃত্যু নেই মোহাম্মদপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ভাইরাল আলভিসহ ৪ জন গ্রেফতার পুরনো খেলায় নতুন প্লেয়ার না, নিয়মই বদলাতে এসেছি”: নাহিদ ইসলাম গাজায় নিজেদের ছোড়া ভূল গুলিতে নিহত ৩১ ইসরাইলি সেনা পবিত্র আশুরা মুসলিমদের জন্য গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের দিন: তারেক রহমান ৩৭টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিগগিরই চালের বাজার স্বাভাবিক হবে: খাদ্য উপদেষ্টা সিরিয়ার নতুন জাতীয় প্রতীক ‘সোনালি ঈগল’ উন্মোচন সিলেটে ৫ দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট, কর্মসূচি জারি রাখতে ৪৮ ঘণ্টার হুঁশিয়ারি

তুরস্কে জুলাইয়ে বিরল তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত শুক্রবার বিরল এক আবহাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। অস্বাভাবিকভাবে ভারী তুষারপাতের কারণে রিজে শহর ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি অঞ্চলগুলো ঢেকে যায় বরফে। সাধারণত এই সময় সেখানে এমন তুষারপাতের নজির নেই।

স্থানীয় সাংবাদিক গেনচাগা কারাফাজলিওগ্লু বলেন, “রিজেতে আমরা বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত, মার্চে মাঝেমধ্যে তুষারপাত হয়, কিন্তু জুলাইয়ে এভাবে এত তুষার পড়তে আগে কখনো দেখিনি।” তিনি আরও জানান, আগের প্রজন্মের কিছু মানুষ ৩০-৪০ বছর আগে জুলাইয়ে হালকা তুষারপাত দেখেছেন, তবে এবারের মতো এত বিস্তৃত বরফের স্তর কখনো হয়নি।

প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ওভিত ইয়ায়লাসি মালভূমিও বরফে ঢেকে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আনজার ইয়ায়লাসি থেকে শুরু করে কাচকার মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা বরফে সাদা হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর্তভিন শহর, যা রিজে থেকে ৫০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত।

অন্যদিকে, দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তুরস্কের বন ও পরিবেশমন্ত্রী ইব্রাহিম ইয়ুমাকলি জানিয়েছেন, অন্তত ১০টি বড় আগুন শুক্রবার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

ইজমির প্রদেশে বৃহস্পতিবারের আগুনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দিনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা আগুনের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।

মুগলা ও হাতায় এলাকায় প্রবল বাতাসের কারণে দাবানলের ভয়াবহতা বেড়েছে। হাতায় প্রদেশ, যা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি, সেখানে এখনও আগুন নেভানোর জন্য জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী ইয়ুমাকলি।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৬২৪টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যার বেশির ভাগই বিদ্যুতের তারের ত্রুটিজনিত কারণে ঘটেছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, আগুন লাগানোর অভিযোগে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ১০ জনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ধরে নেওয়া হচ্ছে, বেশিরভাগই কৃষক ও শ্রমিক, যারা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে গিয়ে স্পার্ক তৈরি করে অনিচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে ফেলেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই তুরস্কের মতো অঞ্চলে এমন চরম আবহাওয়া- একদিকে অস্বাভাবিক তুষারপাত, অন্যদিকে ভয়াবহ দাবানল- আরও ঘন ঘন এবং তীব্র হয়ে উঠছে।

সূত্র: এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

তুরস্কে জুলাইয়ে বিরল তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চল

আপডেট সময় ১২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

 

তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত শুক্রবার বিরল এক আবহাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। অস্বাভাবিকভাবে ভারী তুষারপাতের কারণে রিজে শহর ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি অঞ্চলগুলো ঢেকে যায় বরফে। সাধারণত এই সময় সেখানে এমন তুষারপাতের নজির নেই।

স্থানীয় সাংবাদিক গেনচাগা কারাফাজলিওগ্লু বলেন, “রিজেতে আমরা বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত, মার্চে মাঝেমধ্যে তুষারপাত হয়, কিন্তু জুলাইয়ে এভাবে এত তুষার পড়তে আগে কখনো দেখিনি।” তিনি আরও জানান, আগের প্রজন্মের কিছু মানুষ ৩০-৪০ বছর আগে জুলাইয়ে হালকা তুষারপাত দেখেছেন, তবে এবারের মতো এত বিস্তৃত বরফের স্তর কখনো হয়নি।

প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ওভিত ইয়ায়লাসি মালভূমিও বরফে ঢেকে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আনজার ইয়ায়লাসি থেকে শুরু করে কাচকার মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা বরফে সাদা হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর্তভিন শহর, যা রিজে থেকে ৫০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত।

অন্যদিকে, দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তুরস্কের বন ও পরিবেশমন্ত্রী ইব্রাহিম ইয়ুমাকলি জানিয়েছেন, অন্তত ১০টি বড় আগুন শুক্রবার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

ইজমির প্রদেশে বৃহস্পতিবারের আগুনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দিনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা আগুনের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।

মুগলা ও হাতায় এলাকায় প্রবল বাতাসের কারণে দাবানলের ভয়াবহতা বেড়েছে। হাতায় প্রদেশ, যা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি, সেখানে এখনও আগুন নেভানোর জন্য জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী ইয়ুমাকলি।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৬২৪টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যার বেশির ভাগই বিদ্যুতের তারের ত্রুটিজনিত কারণে ঘটেছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, আগুন লাগানোর অভিযোগে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ১০ জনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ধরে নেওয়া হচ্ছে, বেশিরভাগই কৃষক ও শ্রমিক, যারা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে গিয়ে স্পার্ক তৈরি করে অনিচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে ফেলেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই তুরস্কের মতো অঞ্চলে এমন চরম আবহাওয়া- একদিকে অস্বাভাবিক তুষারপাত, অন্যদিকে ভয়াবহ দাবানল- আরও ঘন ঘন এবং তীব্র হয়ে উঠছে।

সূত্র: এএফপি